আমার ব্যাচেলর জীবনের খণ্ডচিত্র
শূন্য পকেটে এই শহরে এসে উঠেছিলাম বন্ধুর মেসে। তারপর অন্যদের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থেকেছি বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মেসে। কখনো ফ্লোরে কখনো চৌকিতে থেকেছি। এক সময় আমার ভাঙাচোরা আলাদা রুম হলো। চাকরি পাওয়ার পর কোয়ার্টার হল। তখনো অর্ধাঙ্গী আসেনি জীবনে। চিরকুমার থাকবো বলে, নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে চলার চেষ্টা করেছি।
ব্যাচেলর জীবনের সুখ-দুঃখের কত গল্প জড়িয়ে আছে নিজের সাথে। নিজের রুম, মেস থাকার পরেও আমার দুঃখ বেশি নাকি, অন্যের দুঃখ বেশি এই অভিজ্ঞতা নিতে কখনো হাসপাতালে বেডে, কখনো রেলস্টেশনে রাত কাটিয়েছি। কত রাত সারারাত না ঘুমিয়ে সারা শহর হেঁটে বেড়িয়েছি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। ভোরে মেসে ফিরলে বন্ধুরা বলতো কোথায় থেকে আসলি। আমি বলতাম তোদের প্রেমিকাকে কেউ যেন ভাগিয়ে না নেয়- তাই সারা শহর পাহারা দিয়ে বেরিয়েছি।
এখন ছোট একটা একটা ফ্ল্যাটে থাকি। কুঁড়ে ঘরের মতো বাসা। তার মধ্যে রানি, রাজকন্যা নিয়ে আমার সুখ-দুঃখের ছোট্ট সংসার। টাকা তখনও ছিল না। টাকা এখনো নেই। শূন্য হাতে মাস শুরু হয়. শূন্য হাতে মাস শেষ হয়, কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। জীবন চলার পথে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। যারা খুব বেশি অসহযোগিতা করেছে, চলার পথে কাটা ফুটিয়ে দিয়েছে। তাদের বেশি করে মনে রেখেছি, একদিন সব লেনাদেনা ফেরত দেবো বলে।
সংযুক্ত ছবিগুলো ৯ থেকে ১৬ বছর আগের। অনেক মেসের ছবি নেই আমার কাছে, থাকলে ভালো হতো। কারো কাছে থাকলে দিলে খুশি হবে। সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল। আমার জন্য দোয়া করবেন।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১৩ নভেম্বর ২০২৩
0 মন্তব্যসমূহ