১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঘাতক পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দেশীও দোসর রাজাকার-আলবদরদের হাতে নিহত সকল বুদ্ধিজীবিদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার পথ রুদ্ধ করে দিতে, একটি চক্র তখনো সক্রিয় ছিল এখনো সক্রিয় আছে। স্বাধীনতার বিগত ৫১ বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নানানভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীতাকারীরা ও তাদের বংশধররা নানা বেশে বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সুযোগ পেলেই তারা তাদের অবস্থান ও শক্রির জানান দিচ্ছে।
রাজনীতি, ব্যবসা, প্রশাসন, সামাজিক সংগঠন, এমনকি সাহিত্য-সংস্কৃতিতেও এখন তাদের সরব উপস্থিতি, শক্ত অবস্থান। এই শহরেই এখন অসংখ্য মানুষের তালিকা তৈরী করা যাবে যার ২০০৮ এর আগেও ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর তুমুল বিরোধীতা করেছে। কিন্তু তারা এখন তাদের মাথার উপর জেঁকে বসে আসে যারা এসবের পক্ষে সরব অবস্থান নিয়েছিলেন। কেউ কেইতো অতিচালক এখন পক্ষেও বলে না আবার বিপক্ষেও বলে না চুপ চাপ শুধু পদ-পদবী দখল আর নিজের পকেট ভারী করে নিচ্ছে। (বিঃদ্রঃ কেউ চ্যালেঞ্জ করলে তালিকা তৈরী করে দেয়া যাবে।)
স্বাধীনতার ৫১ বছরের এই অপশক্তিকে দমন করা যায় নাই। দিন দিন তাদের অবস্থান আরো শক্ত হচ্ছে। তাদেরকে যদি এখনই সমূলে উৎপাটন না করা যায়, তাহলে একসময় আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে গর্ব করার সাহস পাবে না।
আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
আসুন ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের শপথ নিই। রক্তে কেনা আমাদের বাংলাদেশকে, আগামীর বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন অশক্তির হাতে তুলে দেবো না।
ঘাতকেরা ইতিহাস লিখতে চেয়েছিলো
পরাজয়ের কালিমায়,
বীর সন্তানেরা সেই ইতিহাস মুছে দিলো
রক্তের
লালিমায়।
কত শত বিচিত্র ফুল শত শ্রদ্ধা আজ
তাদের স্মৃতির তরে,
কৃতজ্ঞতায় নত শিরে কোটি জনতা
তাদের
স্মরণ করে।
নীল আকাশে বীর শহিদের আত্মাগুলি
লাল সবুজে উড়ে
ঘাতকের সেই প্রেতাত্মারা আজ তাই
রুপ
পাল্টিয়ে ঘোরে।
যেনো রেখো ওরে অত্যাচারী ঘাতক
চিরো ঘৃণিতের দল,
যুগে যুগে তোরা ঘৃণাই পাবি, পাবি না
কোন দিন বল।
জয় বাংলা
বুদ্ধিজীবি দিবসের ভাবনা….
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১৪ ডিসেম্বর ২০২২খ্রি.
0 মন্তব্যসমূহ