পৃথিবীর সকল ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, দেশ, কাল, মতাদর্শ, রাজনীতি এবং পেশা ভালো বা খারাপ উদ্দেশ্যে মানুষকে বিভাজন করে । কিন্তু শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি কোনরকম বিভাজন না করে সকল মানুষকেই কেবল মানুষ হিসেবে দেখে। তাই একজন লেখক বা শিল্পী পৃথিবীর যেকোনো দেশের, ধর্মের, বর্ণের, পেশার মানুষকে নিয়ে বলতে, লিখতে বা ছবি আঁকতে পারেন।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করেও কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি নিজ মনে বিদ্বেষ লালন করেন, হিংসা পোষণ করেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি এখনো শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি তাকে পুরোপুরি হৃদয়ে ধারণ করতে পারেননি।
হয়তো কেউ খুব বড় মাপের সাহিত্যিক, শিল্পী বা সংগঠক। হয়তো এই অঙ্গনে তার অনেক বছর যাবত পদচারণাও আছে, কিন্তু তিনি যদি মনের মধ্যে সংকীর্ণতাকে লালন করেন তাহলে তার শিল্প-সাহিত্য চর্চা করা ব্যর্থ।
আর সাহিত্য-সংস্কৃতিকে পেশা হিসেবে নেয়া অন্যায় নয়, তবে এজন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়া নিশ্চয় অপরাধ।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৮ নভেম্বর ২০২১খ্রি.
লোকনাথ দিঘীরপাড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
0 মন্তব্যসমূহ