Ticker

6/recent/ticker-posts

কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার


আমি শৈশবে স্কুল পালিয়ে বিশাল বপুর কচার নদীর পারে দুই পা ছড়িয়ে বসে বসে ঢেউ গুনতাম। এখনও গুনি কিন্তু মেলে না হিসাব।’--কথাগুলো দেশের আলোচিত লেখক, কথাসাহিত্যিক শ্রদ্ধেয় মনি হায়দার-এর। নদীর ঢেউয়ের মতো বেশুমার তাঁর সৃষ্টির সম্ভার। সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ থেকে ছেলেবেলায় যে লেখালেখি শুরু করেছিলেন আজও তার সমাপ্তি টানা হয়নি। বরং সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বইয়ের সংখ্যা। প্রায় তিন যুগ ধরে তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকাগুলোতে গল্প, উপন্যাস, কিশোর শিশু সাহিত্য নিয়ে লিখছেন। লিখেছেন মঞ্চ টিভি নাটকও। বই সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেআঠারো বছর পর একদিন, আমার বীনু খালা, একটি খুনের প্রস্তুতি বৈঠকের পর, নায়ক নায়িকারা, ইলিশের মাংস, উড়িতেছে সোনার ঘোড়া, হাতি যখন কাবু, নদীর সঙ্গে বসবাসের গল্প, পাতলাদা গল্পসমগ্র, গল্প পঞ্চাশ, চলুনমানুষের কারখানায়কিংবদন্তী ভাগীরথী,নব্বই দশকের গল্প, সুবর্ণ সর্বনাশ, এক ডজন গল্প, পরী রাণী, রাজকন্যা মহৎ মাছ, থৈ থৈ নোনাজল, ট্রেন তোমার বাড়ি কোথায়, একাত্তর কয়েকটি ঘাসফড়িং, উত্তাল মার্চ ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম রোকেয়া, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প, ফ্যান্টাসি, মোকাম সদরঘাট ইত্যাদি।

কথাসাহিত্যিক মনি হায়দারের জন্ম ১৯৬৮ সালের মে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় বোথলা গ্রামে। তিনি সাহিত্য সম্মাননার স্বীকৃত স্বরূপনুরুল কাদের শিশু সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮', 'অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার ২০০৯'- অর্জন করেছেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত রয়েছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ থাকলেও আলোচিত এই লেখকের দেখা পেয়েছিলাম এবছর অমর একুশের গ্রন্থমেলায়। দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গ পেলাম নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। গত ৩১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। এসময় তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলাম প্রিয় সাহিত্য সাময়িকী কিচিরমিচির। ছবির ফ্রেমে যুক্ত আছেন শ্রদ্ধেয় কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন স্যার ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন স্যার।

ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়জন।  আপনার সঙ্গ পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ভালো থাকবেন

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

১৬ জুন ২৫

তথ্য ঋণ:  বইঘর, অনুপ্রাণ প্রকাশন প্রথমা প্রকাশন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: নুরুল আমিন আশরাফ ভাই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ