হুট করে একদিন কবি-প্রাবন্ধিক ও রম্যলেখক শফিক হাসান ভাইকে আবিষ্কার করলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। (আবিষ্কার এই অর্থে যে- শুধু ফেসবুকীয় যোগাযোগ ছাড়া তার সাথে ইতঃপূর্বে আমার কখনো দেখাসাক্ষাৎ ; এমনকি কথা- বার্তাও হয়নি )। সেদিন ভাইয়ের এক ফেসবুক পোস্ট থেকে জানলাম তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে।
ঝটপট নাম্বার সংগ্রহ করে কল দিয়ে কবির সাথে দেখা করলাম। কথা বলে জানলাম- তিনি কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ঝটিকা সফরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছেন। এরকম ঝটিকা অভিযান তিনি নাকি মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন জেলায় করে থাকেন। ঘুরে ঘুরে তিনি প্রকৃতি দেখেন, মানুষ দেখেন, জীবন-জীবিকা সন্ধানে ছুটে চলা মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প খোঁজেন আর সুনিপুণ কারুকার্যে সব উল্লেখ করেন তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ কিংবা রম্য রচনায়। সম্প্রতি তার প্রকাশিত ভ্রমণ গ্রন্থ ‘অবিরাম দেখি বাংলার মুখ’ সেই ঝটিকা অভিযানেরই বিস্তারিত বর্ণনা।
গত ১৭ ডিসেম্বর পরিচালিত অভিযানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নির্বাচনের পিছনে তার অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। আমি অনুমান করছি যেহেতু সে সময়ে দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তুমুল ফেসবুক যুদ্ধ চলছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন ভারতকে মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীকে মহান দায়িত্ব দিয়েছে। তাই এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখতে আসলেন কিনা- তা তাকে জিজ্ঞেস করে আর জানা হয়নি।
তিনি একা একা শহর ঘুরে দেখার মনস্থির করেছিলেন। আমি তার এই নিঃসঙ্গ ভ্রমণাভিযানের সঙ্গী হওয়ার অভিপ্রায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ঘুরে দেখতে বেড়িয়ে পড়লাম।
সুরের শহর, সাহিত্যের তীর্থভূমি, ধর্মীয় সম্প্রীতির সৌন্দর্যমণ্ডিত জেলা, কিংবা ইতিহাস ঐতিহ্যের শহর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দীপ্ত, তিতাস বিঁধত, সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘুরে ঘুরে তিনি কী দেখলেন, কী বুজলেন বা অনুভব করলেন সেসব তিনি কোনো একদিন বিস্তারিত লিখবেন বলে আশা প্রকাশ করছি। আজকে এসব বিষয়ে আমার আলোচনা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। আজকের প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলো আজ তার ৪২তম শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনে অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল প্রিয় শফিক হাসান ভাই। যে-সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাসমূহ ঘুরিয়ে দেখাতে পারেনি- তা সম্পূর্ণ করার আমন্ত্রণ রইলো।
শুভেচ্ছাসহ
০২ জানুয়ারি ২৪
0 মন্তব্যসমূহ