অল্প কথায় তাঁর সুবিশাল কর্ম ও মর্যাদার কথা বলতে গেলে বলতে হয়- তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘রবীন্দ্র-নজরুল’। আরো অল্প করে বলতে গেলে তিনি একটি ‘বিন্দু’ । এমন একটি বিন্দু; যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিগত ৫০ বছরের সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মিলন ঘটেছে। তিনি এমন একটি বিন্দু; যাকে আবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সময়ের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চিত হচ্ছে। আমাদের; বিশেষ করে আমার জানা-অজানা. দেখা-না দেখা, পড়া-না পড়া অনেক কিছু এই ‘বিন্দু নামক সিন্ধুর’ গভীরতা থেকেই অর্জন করা সম্ভব !
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি মানে ‘জয়দুল হোসেন’ অথবা জয়দুল হোসেন মানেই ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি’ এইরকম একটি ধারণা বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিক অঙ্গনে সকলের মনেই একরকম বদ্ধমূল এবং সে ধারণা মোটেই মিথ্যে নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথিতযশা প্রয়াত সকল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তির রেখে যাওয়া ‘জীবন্ত ছায়া’ হচ্ছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় কবি জয়দুল হোসেন মহোদয়। কেউ কেউ তাঁকে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ও বলেন। আমরা অনেকেই তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের ‘বটবৃক্ষ’ হিসেবে সম্বোধন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি সেসকল; সৌভাগ্যবানদের একজন যে; খুব সামান্য হলেও তাঁর সাহচর্য পেয়েছি।
গতকাল এক জানুয়ারি ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রখ্যাত কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন স্যারের ৭০ তম জন্মবার্ষিকী। আমরা তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ৭০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কবি জয়দুল হোসেনকে উৎসর্গকৃত আমার একটি অসম্পূর্ণ ছড়া পোস্ট করলাম। সংযুক্ত ছবিটি তুলেছিলাম গত বছর ১ এপ্রিল।
তাঁর বুকে আঁকা থাকে তিতাসের ছবি
তাই তাঁরে ডাকে সবে তিতাসের কবি।
ভোরের পাখি তিনি তাঁর জয়দুল নাম
তিতাসের সুখ-দুঃখ লিখেন অবিরাম।
লিখে তার বীরগাঁথা লিখে গৌরব
কিছু তার ঐতিহ্য আর কিছু সৌরভ।
লিখেটিকে রেখে যান তিতাসের মান
সেই মান দিয়ে গাই তারই জয় গান।
গানে মানে সেরা তিনি অতুলনীয় রবি
রবির মতো ছড়ায় আলো কর্মবীর কবি।
কেউ তারে ভেবে ভেবে বসে নজরুল
সে ভাবনা নয় মিথ্যে নয় তিনি অতুল।
তিতাসের কবি
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২২ জুলাই ২৪
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: গতকাল একটি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় এই পোস্টটি দিতে একদিন দেরি হয়ে গেল)
0 মন্তব্যসমূহ