আমি নিজেও পাণ্ডুলিপি যাচাই করে প্রকাশ করার পক্ষে। তবে সে যাচাই বাংলা একাডেমি না, পুলিশ নিজে করুক। দেশের জনগণ থানা থেকে নানা কাগজপত্র আনতে টাকা-পয়সা খরচ করে। এবার না হয় লেখকরাও নিজেদের বইয়ের ক্লিয়ারেন্স পেতে টাকা খরচ করবে।
কিন্তু শর্ত একটাই- সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে অবশ্যই সেই লেখকের বই পড়ে ক্লিয়ারেন্স দিতে হবে। আমার না হোক, কোনো না কোনো লেখকের বই পড়ে নিশ্চয়ই আমাদের দেশের পুলিশ আরো বেশি মানবিক, আরও বেশি জনবান্ধব এবং আরো বেশি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠবে।
আর কিছু না হোক অন্তত এতোটুকু জানুক যে- ন্যায্য দাবিতে কেউ আন্দোলন করলে তাদের দমন করতে হয় না। তারা এতোটুকু মানবিক হোক যে- ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রয়োজনে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ অথবা গরম পানি নিক্ষেপ করুক কিন্তু গুলি না ছুড়ুক।
পুলিশ গুলি ছুড়লেই যে কোনো না কোনো মায়ের বুক খালি হয়ে যায়। পুলিশ গুলি ছুড়লেই যে এ দেশে ৫২-৬৯ হয়, ৯০-২৪ হয়। এই ইতিহাসগুলো তাদের জানা হয়ে যাক। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এ দেশের পুলিশের গৌরব অর্জন ও সম্মানজনক ভূমিকা আছে এবং সেই গৌরব ও সম্মান রক্ষা করার জন্য তাদের করণীয়টা কি ? বই পড়ে তাদের জানা হয়ে যাক।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
৩১ জানুয়ারি ২৫
0 মন্তব্যসমূহ