ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান (কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক) তারিক সজীব ভাইয়ের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হলো সেদিন। যদিও ফেসবুকে আরো আগে থেকেই ভাইকে ফলো করছিলাম। গুণী এই ভাইয়ের সংস্পর্শে খানিক উজ্জীবিত হয়ে নিলাম তার অফিসে। ফেরার পথে উপহার হিসেবে পেলাম বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জীবনী সাহিত্য, তারিক সজীব ভাইয়ের নিজ লেখা কবিতার বইসহ মূল্যবান কিছু বই এবং যথারীতি শিশু-কিশোর সাময়িকী কিচিরমিচির তুলে দিলাম সজীব ভাইয়ের হাতে।
তারিক সজীব ভাই ১৯৮৪ সালে ২০শে মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস নবীনগর উপজেলায় শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে । পিতা মীর অহিদুজ্জামান ও মাতা সৈয়দা রফিয়া খাতুন-এর পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ তিনি। লেখালেখির জগতে পা রাখেন ছাত্রজীবন থেকেই। জেলা-উপজেলার দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিক এবং সাহিত্য লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। কবিতার পাশাপাশি তাঁর লেখা প্রবন্ধ, ফিচার, ছোটগল্প, সমালোচনা ও উপন্যাস পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমেধ্যে পাঠকের তৃষ্ঞা মিটিয়েছে তাঁর লেখা প্রকাশিত ১২টি কাব্যগ্রন্থ।
লেখালেখির পাশাপাশি অভিনয়, সঙ্গীত, এবং শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বে সম্পৃক্ত আছেন তিনি। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ সাপ্তাহিক তিতাসের খবর-এর সেরা ‘সৃজনশীল ফিচার লেখক ২০০৮', স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক ‘গুণিজন সম্মাননা ২০২৩', নবীনগর উপজেলা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘গুণীজন সম্মাননা ২০২৩' পুরস্কার লাভ করেন জনাব তারিক সজীব । ২০০৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত আছেন তিনি। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে একাডেমির পাঠ্যপুস্তক বিভাগে।
বাংলা একাডেমিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি কিছুদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৈনিক প্রজাবন্ধু, সাপ্তাহিক তিতাসের খবরসহ বেশ কিছু পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সেদিন সেইসব স্মৃতি বর্ণনা করলেন । তাঁর তারুণ্যময় স্মৃতি জড়ানো নিজ জেলা, নিজ শহরে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেদিনের মতো বিদায় নিলাম। প্রিয় তারিক সজীব ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
শুভেচ্ছা
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১৪ জানুয়ারি ২৫
0 মন্তব্যসমূহ