শেষ বিকাল; ছানাদের জন্য খাবার নিয়ে বাসায় ফিরতে হবে। সেই আশায় ছোট মাছ ধরার জন্য ডোবার কোনায় ওত পেতে ছিল বক জুটি।
আমাদের দেখে ফুড়ুত করে উড়ে গেলো- যাবার আগে বিরক্তি নিয়ে বক তার বকনীকে বলল- আরে এরা কারা, কোত্থেকে এলো এরা।
বিস্ময় প্রকাশ করে বক বৌ বলল- এদের এ গাঁয়ের মনে হচ্ছে না।
বক বলল- তাইতো কিন্তু এরা রাস্তা ছেড়ে ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটছে কেনো ?
বকবধু বলল- মনে হয় শহর থেকে এসেছে, শুনলে না কী সব সাহিত্য মার্কা আলাপ করছিলো।
বক বলল- মনে হয় কবি-টবি হবে আর কি ! এদের খেয়েদেয়ে কোনো কাজ নাই, এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় আর সাহিত্য চর্চা করে।
মা বক বলল- এতো বুজে কাজ নেই, চল অন্য ডোবায় যাই, আলো হারাবার আগে ছানাদের জন্য খাবার ধরতে হবে ।
বাবা বক বলল- হ্যাঁ তাই চলো। সাহিত্য দিয়ে ওদের পেট ভরলেও আমাদের পেট ভরবে না।
পাখিডাকা নিকোন উঠোনে কথা-কবিতায় অনুষ্ঠিত হলো স্বদেশ সাহিত্য আড্ডা।প্রবাসী কবি জসিম রজনীর আমন্ত্রণে গতকাল বিকেলে আমরা গিয়েছিলাম ছায়ানিবিড় গ্রাম মহিউদ্দিন নগরে।
নিষঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকা আতাগাছ, পাড় হারানোর দুঃখে বিষণ্ন পুকুর, ফসলি জমির পাহাড়ায় থাকা লেবু গাছের সারি আর বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখা মিষ্টি আলুর মাঠের আল- বিদায় জানালো আমাদের।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৪ নভেম্বর ২৪
0 মন্তব্যসমূহ