মেঘনা নদীর এই স্থলে বর্তমানে পানির গভীরতা কত ? আর জলের সারফেস থেকে ব্রিজের উচ্চতা কতটুকু ?
এসব মাপতে তারা সবাই গত ৩১ মে বন্দরনগরী আশুগঞ্জ গিয়েছিলেন। সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাকে।
নদীর অপর পাশের জনপদ ভৈরবীদের বাড়ির দিকে রওনা দেওয়া ঘুমকাতুরে সূর্যের মুখমণ্ডল আর জলের ঢেউয়ের সাথে ছন্দময় নৃত্যরত তার লালাভ কিরণ।
নদীর দুই পারে বসবাস করা মানুষের মুখের হাসির ছোঁয়া নিয়ে আসা বাতাসের মিছিল।
অশান্ত নদীর বুকে শান্ত ছেলের মতো তিন ব্রিজের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা। তার উপর ঝন ঝন-ঝিক ঝিক শব্দে গান গাইতে গাইতে রেলগাড়ির গন্তব্যে ছুটে চলা।
বেলা ফুরাবার আগে সুঠামদেহী ক্লান্ত শ্রমিকদের কাজ শেষ করার ব্যস্ততা, আর তাদের ফিরে যাওয়ার পর; পরে থাকা খাদ্যকণার দিকে তাকিয়ে থাকা দূরের গাছে অপেক্ষারত পাখিদের ঝাঁক।
প্রাক সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর পার- ময়ূরের পাখার মত তার সব সৌন্দর্য মেলে ধরে। জল ও স্থল যানে বসে ছুটে চলা মানুষদের কেউ কেউ তা একনজর দেখেই মুগ্ধ হয়।
মেঘনা পারের শহর ‘আশুগঞ্জ’। স্থানীয়রা ভালোবেসে এর নাম দিয়েছে ‘জাদুর শহর’। এই শহর আর নদী তীরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে, শেষ পর্যন্ত তারা মাপামাপি না করেই ফিরে এসেছেন।
কর্তৃপক্ষ আর মানুষ মানুষ পেলো না, কবি-লেখকদের দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর দায়িত্ব ?
নেন স্যার, এখন বসে বসে কবিতা শোনেন ।
মেঘনার পারে কবিদের ইঞ্জিনিয়ারিং
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১৪ জুন ২৪
0 মন্তব্যসমূহ