Ticker

6/recent/ticker-posts

অপরাধ রুখতে হবে সম্মিলিতভাবে

অপরাধ রুখতে হবে সম্মিলিতভাবে

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ



নিজে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আমরা সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করতে চাই না। তাই রাস্তাঘাটে, পাড়ামহল্লায় কোনো ছেলেকে সিগারেট খেতে দেখলে, বখাটেপনা করতে দেখলে অথবা মুরুব্বীদের সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখলেও আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যাই। অন্যের ঝামেলা নিজের কাঁধে আনতে নেই- ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগী।


কিন্তু সময় কাউকে ক্ষমা করে না। একদিন কোনো না কোনোভাবে সিগারেটের ধোঁয়া নিজের ছেলেকেও স্পর্শ করে। ইভটিজিং এর শিকার হয় আপনার বোন বা কন্যা।  পাড়ার বেয়াদব ছেলেটা একদিন আপনার সঙ্গেও বেয়াদবি করে বসে।

পার্কে, রেস্তোরায় বসে অল্প বয়সী ছেলেমেয়ে দুটো একান্তসময় পাড় করছে। তারা নিজের নয় বলে আমরা দেখেও না দেখে চলে যাই। অন্য কোথাও আমাদের ছেলেমেয়েরা একইভাবে বসে আছে না তো? হেলায় হেলায় নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে না তো ?

ছোট ছোট এই সমস্ত সামাজিক অপরাধ একসময় গুরুতর হয়ে ওঠে। ছোট ছোট অন্যায় করতে করতে শাস্তি না পেয়ে সাহসী হয়ে ওঠা ছেলেমেয়েগুলো একসময় বড় অন্যায় করে বসে। সে অন্যায়টা হতে পারে আপনার সাথে, হতে পারে আমার সাথে। তখন হয়তো আর তাদের প্রতিরোধ করা যাবে না। তাই সময় থাকতেই এদের প্রতিরোধ করতে হবে। একা একা প্রতিবাদ করে এদের হয়তো প্রতিরোধ করা যাবে না। তাই আসুন সামাজিকভাবে এদের প্রতিরোধ করি।

ছবির এই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ভাবুন, হতে পারত সে আপনার বোন বা কন্যা। নিজের বোন, কন্যার এরকম লাশ হওয়ার আগে আসুন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করি।

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
০৩ মে ২০২৩

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ