সদর উপজেলার রামরাইল, মোহাম্মদপুর, ভোলাচং, ঘাটিয়ারা, পাতৈরহাতা, সেন্দ, কান্দি, বিয়াল্লিশ শহর, বিজেশ্বর, উলচাপাড়া, সুহিলপুর, জারুলতলা এবং আখাউড়া উপজেলার তারাগনে এই বংশের শাখা, প্রশাখা ও উপশাখা বিস্তৃত।
প্রায় দুই থেকে আড়াইশ' বছর পূর্বে ইরান থেকে দুই ভাই ধর্মপ্রচারে উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষ তথা এই অঞ্চলে আসেন। তাদের একজন থেকে বিস্তৃত ‘হাজারী’ বংশের বর্তমানে অষ্টম জেনারেশন চলছে। নবম জেনারেশনের অনেক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
আমি এই বংশের সপ্তম জেনারেশন। অর্থাৎ আমাদের জেনারেশন ইতোমধ্যেই দাদা-নানা হয়ে গেছে। বড় ভাইদের কল্যাণে গ্রামে গেলে আমি নিজেও দাদা-নানা ডাক শুনি থাকি।
হাজারী’ বংশের তথা আমাদের পূর্বপুরুষদের একটি নামের তালিকা বিগত ২০০৬ সালে আমাদের গ্রামের কিছু মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনে শুনে লিপিবদ্ধ করেছিলাম।
সেখান থেকে আমাদের অংশটুকুই আজকে প্রকাশ করলাম। নিচে আমাদের মূল বংশ থেকে আমার মেয়ে পর্যন্ত একটি তালিকা দেওয়া হলো। ভবিষ্যতে প্রত্যেক গ্রামে পূর্বপুরুষদের আলাদা আলাদা তালিকা প্রকাশ করা ইচ্ছা রাখি।
এই তালিকার প্রত্যেক লাইন আপন ভাই। তার পরবর্তী লাইন উপরের লাইনে থাকা ব্যক্তিদের ছেলে বা ভাতিজা। নিচে কালো দাগ দিয়ে কার ছেলে কে বা কারা সেটা বুঝানো হয়েছে। নীল ঘরগুলোর ব্যক্তিগণ সরাসরি আমার পূর্বপুরুষ। আকাশি রঙের অংশটুকু আমার কন্যার নানি বাড়ির পূর্বপুরুষ।
আমাদের পূর্বপুরুষদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও দোয়া রইল। তারা মনে রেখেছেন বলে আজ আমরা গর্ব করে আমাদের বাপ-দাদা দশম পুরুষ পর্যন্ত নাম বলতে পারি। যা অনেকেই পারবে না। এটি আমাদের কাছে অবশ্যই গৌরব ও মর্যাদার।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
৩০ জুলাই ২০২১ খ্রি.
0 মন্তব্যসমূহ