তাসফিয়ার ছোট বোনের জন্মের কারণে গত এক বছর তার নিয়মিত লেখাপড়ায় বেশ ব্যাঘাত ঘটেছে। অনেকদিনই তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে পারেনি। প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যেতে পারিনি। বাসায়ও অনেক সময় ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারেনি সে। তা সত্ত্বেও তাসফিয়া নূর ঝিলমিল তার প্রথম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় চমৎকার রেজাল্ট করেছে। এতে বাবা হিসেবে আমি অবশ্যই গর্বিত ও আনন্দিত।
যদিও আমি শিশুদের এত এত সাবজেক্ট পড়া ও পরীক্ষা দেওয়ার বিরোধী। খেলা ফেলে, কার্টুন দেখা ছেড়ে, কোথাও ঘুরতে যাওয়া বাদ দিয়ে, বইখাতা নিয়ে পড়তে বসাটা যে কী ধরনের কষ্ট- তা হয়তো আমরা অভিভাবকরা অনেক সময় বুঝতেই চাই না। হেসে-খেলে, খুশি মনে যতটুকু লেখাপড়া করে ততটুকুই বাচ্চাদের প্রকৃত শিক্ষা। জোর করে শেখাতে যাওয়াটা শরীর ও মনের উপর এক ধরনের চাপ। যা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই অনেকটা চাপমুক্ত রেখেই তাকে লেখাপড়া করানোর চেষ্টা করেছি আমরা।
তাসফিয়ার এই চমৎকার ফলাফলের জন্য তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল অব টোটাল এডুকেশনের কর্তৃপক্ষ, তার ক্লাস শিক্ষিকা, প্রাইভেট শিক্ষিকাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ ধন্যবাদ তাসফিয়ার মাকে, নিজের অসুস্থতা ও ব্যস্ততা সত্ত্বেও তাসফিয়ার দৈনিক পড়াগুলো তৈরি করতে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছে সে। ভালো ফলাফলের জন্য আমার শিশু কন্যা তাসফিয়া নিজেও যথেষ্ট পরিশ্রমও করেছে।
দু-বছর আগে সূর্যমুখীতে ভর্তি করার জন্য চেষ্টা করেও লটারিতে নাম ওঠেনি। এই বছর গভ. মডেল গার্লস স্কুলের লটারিতেও তার নাম আসলো না, ফলে মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আমরা। তাসফিয়ার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি। আপনার সন্তানদের জন্য আমার দোয়া ও শুভকামনা রইল। একটি সুন্দর দেশ ও সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠুক আমাদের আগামী প্রজন্ম।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৩ ডিসেম্বর ২৪
0 মন্তব্যসমূহ