Ticker

6/recent/ticker-posts

কোটা আন্দোলন


শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করার পাশাপাশি 
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে
দায় আছে আমাদেরও

সময়ের প্রয়োজনে কোটা ব্যবস্থার সৃষ্টি, সময়ের প্রয়োজনেই কোটা সংস্কারও জরুরি কোটা ব্যবস্থা কেন আসলো আর কেনোইবা সংস্কার করা প্রয়োজন এসব নিয়ে দেশব্যাপী অনেক লেখাজোঁকা হয়েছে নতুন করে কিছুর বলবার নেই শুধু এতটুকু বলতে চাই- কোটার ব্যবস্থা থাকলে একদল শিক্ষার্থী সরকারি চাকরির সুবিধা পাবে কোটা ব্যবস্থা না থাকলে আরেকদল শিক্ষার্থী সরকারি চাকরির সুযোগ পাবে এই দুই দল শিক্ষার্থীর বাইরেও দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে

কোটা ব্যবস্থা যেমন সংস্কারের দাবি রাখে- তেমনি দাবি রাখে সকল ধরনের শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা দাবি রাখে দেশের দুর্নীতি দূর করা দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন হলে, দেশ দুর্নীতি মুক্ত হলে যে সফুল আসত- এই সুফল ভোগ করতো মেধাবী অমেধাবী, কোটাধারী, কোটাহীন সকল শিক্ষার্থী সুফল ভোগ করতো দেশের ধনী-গরীব সকল মানুষ

দুর্নীতি রোধ করা, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি রোধ করা, মানুষের সকল মৌলিক চাহিদা- তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা সহজ লভ্য করে তোলার লক্ষ্যে দেশে একটি সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলন দরকার ছিল ছাত্র আন্দোলনও হতে পারতো কোটা ব্যবস্থা বাতিল বা সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন হচ্ছে- এর থেকেও বেশি জরুরি ছিল দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন

কোটা আন্দোলন যখন ডালপালা মেলছিল তখন দেশে বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল তার আগে ছাগলকাণ্ড, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের সাগরসমান দুর্নীতি নিয়ে দেশে কত কিছু ঘটলো এসময় দুর্নীতি বিরোধী একটি গণআন্দোলন গড়ে ওঠার সুযোগ ছিল কিন্তু সেই আন্দোলনটি জমে না ওঠে কোটা আন্দোলন জমে উঠল নাকি কেউ পরিকল্পিতভাবে কোটা আন্দোলন জমে উঠতে সহায়তা করেছে কে জানে কোটা আন্দোলনে কার কত লাভ বা ক্ষতি হলো সে হিসাব করতে করতে আবেদ আলী, মতিউর, জাহাঙ্গির, বেনজিররা পার পেয়ে যাচ্ছে

আঠারো সালের কোটা আন্দোলনের পর কোটা বাতিল হয়েছিল, আবার যখন এই কোটা আসলো তখন তার সংস্কার হয়েই আসা উচিত ছিল কিন্তু সেটা যখন আসেনি- তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে, আন্দোলন সংগ্রাম হবে, সবই ঠিক ছিল কিন্তু সেটা এত বড় সংঘাত পর্যন্ত যাবে- এটা সম্ভবত কারো কাম্য ছিল না, ধারণাও ছিল না দুই পক্ষের কিছু ভুল বুঝাবুঝি আর মানুষের বাড়াবাড়ির ফলে একটি সাধারণ বিষয় এত বড় আকারের রূপ নিল

সুযোগ সন্ধানীরা তো আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল তারা আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের দাবিকে সামনে রেখে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমানিত করা এবং প্রশ্নবিদ্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু থেকেই করতে ছিল এরাই আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখেআমি রাজাকার স্লোগান তুলে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মুখে এই স্লোগান দেশের সব মানুষ মেনে নেয়নি, মানবেও না

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান ধরেছে, সেই বক্তব্যটি বারবার শুনেছিপ্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনকারীদেরকে রাজাকার বলেননি তিনি কেন এই কথা বলেছেন তা জানতে আমাদের পুরো ভিডিওটি দেখতে হবে যে ভিডিওতে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন কোটা আপনি কাকে দিবেন মুক্তিযোদ্ধা ছেলেদেরকে নাকি রাজাকারদের, স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নের উত্তর হবে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেদেরকে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রশ্নটিই উলটো দেশবাসীর কাছে করেছে এতে তিনি সবাইকে রাজাকার বলেছেন বলে আমার মনে হয় না

প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্যটি শিক্ষার্থীরা ভুলভাবে নিয়েছে অথবা তাদেরকে ভুল বুঝানো হয়েছে আবার এও হতে পারে কোটা আন্দোলনকারীরা চাইছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোটা বাতিল হওয়ার ঘোষণা আসুক কারণ তারাও জানে তাদের দাবি পূরণ একমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রীই করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কাছ সে ঘোষণা না আসায় তারা হতাশ হয়েছে, সেই হতাশা এবং ক্ষোভ থেকেই তারা নিজেদের বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘৃণ্যতম শব্দরাজাকার পরিচয় দিয়েছে বা দিতে চেয়েছে

আবার কিছুটা দেরিতে হলেও দেরিতে হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে বলেই তারা তাদের স্লোগানেও নানা পরিবর্তন করেছে- এটিও একটি ভালো দিক আমাদেরকেও বুঝতে হবে দাবি না পূরণ হওয়ায় তারা নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই স্লোগান মুখে তুলেছে- সত্যিকারের রাজাকারদের প্রতি ভালোবাসা থেকে নয় আর তাইতো কোটা আন্দোলনের বিরোধীরাসহ কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আবারতুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি বলে পালটা আওয়াজ তুলেছে

(নোট: সেনসেটিভ বিষয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীরই প্রথম কথা না বলে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, কর্মকর্তা বা দলীয় নেতা কর্মীদের দিয়ে বলানোই ভালো এতো তার বক্তব্য দেশের মানুষ ভালোভাবে নিলে ভালো, না নিলে বক্তব্য প্রত্যাহারের সুযোগ আছে প্রয়োজনে ব্যক্তিকেই তার পদ থেকে প্রত্যাহার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সুযোগ থাকে উভয় অবস্থায় সরকার দলের ভাবমূতি অক্ষুণ্ন থাকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের শেষ ভরসা হিসেবে থাকুক)

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেশে দুটি শ্রেণি জন্ম দিয়েছে একটি শ্রেণি মুক্তিযোদ্ধা, আরেকটি শ্রেণি রাজাকার একাত্তরের পরে নতুন করে কেউ মুক্তিযোদ্ধা বা নতুন করে কেউ রাজাকার হওয়ার সুযোগ নেই কিন্তু ১৯৭১ দুটো শ্রেণির জন্ম দেওয়ার সাথে সাথে দুটো দুটি চেতনারও জন্ম দিয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র ৫৩ বছর হল একশ বছর বা একহাজার পরেও কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে, বিপরীতে আবার কেউ কেউ রাজাকারের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে বিপরীত ধর্মী এই দুই আদর্শ কেনো বাংলাদেশে জিউয়ে আছে বা থাকবে তা নিয়ে অনেক আলোচনা আছে

শুধু এতটুকু বলতে চাই- মুক্তিযোদ্ধার ঘরের জন্ম নিলেই কেউ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বলীয়ান হয়ে উঠবে, কথা যেমন সিউর দিয়ে বলা যায় না আবার রাজাকারের পরিবারের জন্ম নিলেই কেউ রাজাকার হয়ে ওঠে না মুক্তিযোদ্ধার ঘরে রাজাকারের আদর্শ আর রাজাকারের ঘরে মুক্তিযোদ্ধার আদর্শ লালন হওয়ার বহু উদাহরণ এই দেশে আছে কোটা সংস্কারের অনেকগুলো কারণের এটাও একটা কারণ

বাড়তি জনসংখ্যার সাথে চাকরির বাজারের স্বল্পতায় বাবা যুদ্ধ করেছে বলে নাতিপুতিদের সুযোগ দেওয়ার বর্তমান সময়ে আর সুযোগ নেই বলেই মনে হয় বড়োজোর তার ছেলে-মেয়ে পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে কারণ আমরা দেখেছি ভাতা-চাকরিসহ সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে

(নোট: মুক্তিযোদ্ধা দেখলেই তাকে ভুয়া ভাবা একটি ঘৃণিত বাজে মানসিকতা যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাকে চিহ্নিত করেই, কেবল তাকে ভুয়া বলতে হবে আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরিসহ প্রকৃত রাজাকারদেরও তালিকা তৈরি করতে হবে এবং রাজাকারদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে)

বর্তমান সময়ে কোটা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা যায় এভাবে সাধারণ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করার উপায় রাষ্ট্রকেই খুঁজে বের করতে হবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এখন শেষ বয়সে উপনীত রাষ্ট্র এই মুহূর্তে তাদের ভাতা বৃদ্ধি করা, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় বৃদ্ধি করা, যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এখনো কোনোভাবে চাকরির সহায়তা নিতে পারেনি তাদের খুঁজে বের করে যোগ্যতা অনুযায়ী সরাসরি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে

সরকারি চাকরি থেকে কোটা কমিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হলে কেউ যদি আবার প্রশ্ন তোলে তাহলে তাকেনব্য রাজাকার ঘোষণা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই বলার নেই চলমান কোটা আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাগণের সুযোগ সন্ধানী স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির যে ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে তা থেকে উত্তোরণের দায়িত্ব সরকারসহ আমাদের সবার 

দেশের বড় বড় আন্দোলন, দেশের বাক পরিবর্তন ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরেই এসেছে দেশের ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে কোনো দাবি করলে তা যেমন চট করে মানার সুযোগ নেই তেমনি আবার তুড়ি মেরে সেই দাবি উড়িয়ে ফেলারও সুযোগ নেই সেই দাবি কেন মানতে হবে, কেন মানতে হবে না, কতটুকু মানতে হবে, কতটুকু মানতে হবে না- তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হতেই পারে সংঘর্ষ এড়িয়ে জানমালের ক্ষতি এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমেই চলমান সমস্যার সমাধান বের করতে হবে প্রয়োজনে দেশের আইন-আদালততো আছেই

কোটা নিয়ে পর্যন্ত যা ঘটে গেছে সবকিছু অপ্রত্যাশিত সংঘর্ষে, আক্রোশে কারো ব্যক্তিগত বা রাষ্ট্রীয় যে সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে এসব হয়ত কোন ভাবে পোষানো যাবে- কিন্তু দুই পক্ষেরই যারা প্রাণ হারাচ্ছে, ক্ষতি কোনোভাবেই পোষানো সম্ভব না যে বাবা-মা সন্তানহারা হচ্ছে, একমাত্র তারাই বুঝতে পারছে যে তাদের কত বড় ক্ষতি তাদের হয়ে গেল প্রিয়জন হারানোর বেদনায় তাদের আহাজারি সহ্য করার মতো না তাই সংঘাত বৃদ্ধি পায় এমন কোনো কথা এমন কোনো লেখা বা কাজ থেকে এই মুহূর্তে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি

অনেকেই আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে ফেসবুকে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের লেখা পড়লে মনে হয় লড়াইটা বেধে গেলেই সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে কিন্তু বিষয়টি তা নয়, লড়াই যত গভীর হবে, সমস্যা তত জটিল হবে, ক্ষতিও তত বেশি হবে তাই সবার কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে- সমস্যা বাড়ানোর জন্য নয়, সমস্যা কমানোর জন্য কিছু লিখুন

এই দেশে সবাই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল, মতামত বা আদর্শের পক্ষে আছে, থাকবে নিজ দলের নানা মতবাদ নিয়ে নানা লেখালেখি শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ভালো লাগে কিন্তু দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে তখন আর এসব কিছুই ভালো লাগে না পরিস্থিতি অশান্ত হলে তখন সবারই উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে শান্তির কথা বলা, সমাধানের কথা বলা উসকানিমূলক বক্তব্য, মিথ্যা, অসত্য গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করা উচিত নয়

এসব যারা করছে তারা সকলেই একে অপরের কাছে চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমের কোনো কিছুই আর গোপন থাকে না একদিন না একদিন দেশে ঠিকই শান্তি ফিরে আসবে, তখন আপনার এই উষ্ণতা মূলক বক্তব্যের জন্য নিজ দেশ, সমাজ, সম্প্রদায় রাষ্ট্রের কাছে  চিরোদিন অপরাধী হয়ে থাকতে হবে

কোটা আন্দোলনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে, হতে পারে আরো অনেক বেশি এখন সমাধান প্রয়োজন আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে এটা কোটা আন্দোলন, দুই পক্ষের কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের আন্দোলন, সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্বকারী ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধ না আবার এটা রাজনৈতিক আন্দোলনও না যদিও অনেকে এটাকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে আমার মনে হয় না তাদের এই অপচেষ্টা সফল হবে বরং এই অপচেষ্টার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ

আর যদি এটা কোটা আন্দোলন না হয়ে কোটার আড়ালে অন্য কিছু থাকে তাহলে সেটি আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বলে দিক, তখন দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে- এই অবস্থায় তাদের কি করণীয়, আর কী করণীয় নয় কিন্তু এটি রাজনৈতিক আন্দোলন না হলে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের জান এবং মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দ্রুতই সমস্যা সমাধান প্রয়োজন এবং তা কোটা সংস্কারের মাধ্যমেই আসবে বলে মনে করি

এই আন্দোলনের পক্ষে এবং বিপক্ষে আমার আমার অনেক কিছু বলার ছিল নিজের নানা ক্ষোভ থেকে কিছু লেখার লিখেও রেখেছি কিন্তু গত দুই দিনের সংঘর্ষে ভয়াবহতা দেখে এই মুহূর্তে সংযত কথাই বলাই উচিত বলে মনে করছি কারণ আমি চাই না আমার সামান্য কথায় প্রতিহিংসার আগুনে একটু ঘি, একটু লাকড়ি ঢালা হোক তারপরও এই লেখার সঙ্গে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন বলে জানি- তাদের জন্য আলোচনার-সমালোচনার পথ উন্মুক্ত

 শেষ করছি নিজের লেখা একটি কবিতা অংশবিশেষ দিয়ে…....

 লড়াই সংঘাত বন্ধ হোক, শান্তি আসুক দেশে

এই দেশটা তোমার আমার, গড়ব হেসে হেসে

 

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

লেখক-সম্পাদক, সংগঠক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

১৮ জুলাই ২০২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ