একটা ছেলে বা
মেয়ের নেতিবাচক কোনো কিছুর খবর পেলে তোমরা তা নিয়ে নানা ধরনের কন্টেন্ট বানাও। ওই
ছেলে বা মেয়েটি তোমার আপন ভাই বা বোন হলে তুমি কি তাই করতে, অথবা যেই ব্যক্তিকে নিয়ে
তুমি ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট বানাচ্ছ- সে যদি তোমার মা-বাবা হতো তাহলে কি তুমি এই কন্টাক্ট
বানাতে পারতে ?
ফান, প্রাঙ্ক বা মজা করার নামে অন্যের দুর্বলতা নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তোমরা যখন কারো স্বাভাবিক জীবনকে বিপন্ন করে ফেলছো, কারো কারো প্রতিভা অঙ্কুরেই বিনাশ করে দিচ্ছো, কাউকে কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছো- তখন সেটা আর মজার মধ্যে থাকে না। সেটা সমাজের চোখে, ধর্মের চোখে, রাষ্ট্রের চোখে অপরাধ হয়ে যায়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তোমাদের কঠোর শাস্তি হতে পারে। প্রজন্ম- তোমরা কি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে গিয়ে অন্ধকার সমাজে পা বাড়াচ্ছ ?
কন্টেন্ট যদি বানাতে চাও তাহলে শিক্ষামূলক কন্টেন্ট বানাও। মজার ছলেও মানুষকে অনেক কিছু শেখানো যায়।নিজে না পারলে, যারা পারে তাদের অনুসরণ কর।
প্রজন্ম- তোমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখো, কিন্তু কারো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজের ভিউ ব্যবসা বাড়িও না। মনে রেখো সময় একদিন ঠিকই প্রতিশোধ নেয়। কোনোদিন না আবার তোমাকে নিয়ে অথবা তোমার কোনো নিকট আত্মীয়কে নিয়ে অন্যরা কনটেন্ট বানায়।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর
রাত ১০.০৯
মনিরুল ইসলাম
শ্রাবণ
২০ জুন ২০২৩
ছবি: বিজয়নগর, ০৮ নভেম্বর ২০১৪। ছবি কৃতজ্ঞতা: তাফসিরুল ইসলাম।
0 মন্তব্যসমূহ