মেজর জহির আংকেল স্মরণে....
আগামীকাল ২নভেম্বর আমার প্রিয় নেতা, প্রিয় অভিভাবক, শ্রদ্ধেয় আংকেল, জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অবঃ) জহিরুল হক খাঁন বীরপ্রতিক-এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। দিনটি আমাদের সবার কাছে অত্যন্ত শোকের। এতো তাড়াতাড়ি তাঁকে হারাবো তা আমরা অনেকেই ভাবতে পারিনি। অথচ দেখতে দেখতে তার মৃত্যু দিবসও ১ বছর পেরিয়ে গেল ।
জহির আংকেলের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তাঁর সাথে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। রিকশা বা গাড়িতে পাশাপাশি বসতে পেরেছি। এক টেবিলে খাবার খয়েছি অনেকবার। আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম, উপস্থাপনা, নিউজ, ফটোগ্রাফি, পড়াশুনা সব বিষয়ে তিনি আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন, সহযোগিতা করেছেন।
আমার জীবনের এক কালো অধ্যায় কাটিয়ে নতুন রূপে এই যে আমি আজ শ্রাবণ হয়ে আপনাদের মাঝে, এর জন্য আমি যাদের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব তাদের অন্যতম একজন মেজর জহির আংকেল। এমনকি মাননীয় মেয়র স্যার এর কাছে তিনিই আমাকে নিয়ে এসে ছিলেন।
তবে আমি তাঁর উপকারের কাছে যতটা ঋণী তার চাইতেও বেশী ঋণী তাঁর আদরের কাছে। যা আজ খুব মিস করি। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর প্রথম যদি কারো মৃত্যুতে কষ্ট পেয়ে থাকি তা জহির আংকেলের জন্য।
কিন্তু দুঃখের বিষয় জহির আংকেলের জীবনের শেষ সময়গুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি তাঁর কয়েক হাজার ছবি তুলেছি, অথচ তাঁর সাথে আমার শুধু মাত্র একটি ছবি রয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩খ্রি. তারিখে বুড়িশলে একটি রাজনৈতিক সভায় যাওয়ার মুহূর্তে নৌকায় সেটি তুলেছিলাম। এর দুমাস পরেই তিনি হারিয়ে যান চিরতরে।
আগামীকাল তাঁর প্রথম মৃত্যু দিবস। আজ তাই ঐ ছবিটি আপলোড করলাম এবং আপনাদের কাছে অনুরোধ করব যাদের কাছে উনার ছবি আছে আগামীকাল তিনির মৃত্যু দিবসে স্মৃতিময় সেই ছবি গুলি আপনারা আপলোড করবেন। যাতে তাঁর কথা মনে করে অন্য সবাই তাঁর জন্য দোয়া করেন।
আর তিনির বড় ছেলে ইমরান ভাই আংকেলের নামে একটি লাইক পেজ চালু করেছে। যেখানে আমার তোলা অনেক ছবি রয়েছে। আপনার সেই পেজটি একবার দেখবেন। হয়তো আপনাদেরও কিছু স্মৃতি নাড়া দিবে।
আর একটি কথা তাঁর সান্নিধ্য ও সহযোগিতা পেয়েছি কম বেশী আমরা সবাই। আজকের এই দিনে আসুন আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি ‘মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন................. আমিন ।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১ নভেম্বর ২০১৪খ্রি.
0 মন্তব্যসমূহ