কবি কে ফাঁসি দাও
কবি কেন ফুল পাখি বৃক্ষ নিয়ে কবিতা লিখবে
তাকে মৃত্যুদণ্ড দাও।
কবি কেন
আকাশ বাতাস মেঘ বৃষ্টির কবিতা লিখবে
তাকে ফাঁসিতে ঝুলাও।
কেন লিখছে সে পাহাড় নদী সাগর ঝরনার কথা
তাকে শূলিতে চড়াও আজই, এক্ষুনি।
কবি কেন মায়া, মমতা, প্রেম, প্রীতি
ভালোবাসার কথা বলবে ?
কবি কেন বিরহ যন্ত্রণার কথা বলবে
তার বুকে তীর বিদ্ধ করো।
কবি কেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে
তার জিহ্বা কেটে ফেলো
অথবা
তার মুখ সেলাই করে দাও।
কবি কেনো মানুষের অধিকারের কথা বলবে।
তার হাত পা বেঁধে ফেলো, কেটে ফেলো।
কবির ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব ছারখার করে দাও।
তাকে জেলে বন্দি করে
তার বাবা মা স্ত্রী সন্তান অভুক্ত রাখো
দিনের পর দিন; মাসের পর মাস।
কবিতা লেখার মহা অপরাধে
তাকে চাকরিচ্যুত করো অথবা দেশান্তরী করে দাও।
কবির হৃৎপিণ্ড ছিড়ে টুকরো টুকরো করে
পশু পাখিকে খাইয়ে দাও।
নগরের দেয়ালে দেয়ালে
গ্রামের গাছে গাছে
কবির রক্ত দিয়ে ঘোষণাপত্র লিখে দাও
এখানে কবিতা লেখা পাপ,
এখন থেকে কবিতা লেখা নিষিদ্ধ।
কবিতা লেখার জন্য
যদি চাও
কবিকে শাস্তি দাও।
যদি চাও
কবিকে হত্যা করো,
যদি চাও
কবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাও।
তবে যেন রেখো
কবি কে যত সহজে হত্যা করা যায়
তার কবিতাকে তত সহজে হত্যা করা যায় না।
কবিতা
কবির চাইতেও
অনেক বেশি শক্তিশালী।
কবির মৃত্যু আছে
কবিতার মৃত্যু নেই,
কবিতা
অমর।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
সকাল ৭.৪৬ মিনিট
০১ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রি.
টেংকেরপাড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
0 মন্তব্যসমূহ