জ্ঞানের উৎস বই, আর একজন জ্ঞানী ব্যক্তির বক্তব্য শোনা ১০টি ভালো বই পড়ার সমান। আগে প্রচুর বই পরতাম। এখন তেমন সময় পাই না, তাই পড়ি না।
এসব অনুষ্ঠানে আমি কিছু মানুষের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনি। বই পড়তে না পারার কারণে তাঁদের বক্তব্য থেকেই জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করি। যাদের বক্তব্য আমি শুনি, এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য দুটি নাম সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (সেবা-বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহোদয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের বক্তব্য আমার জ্ঞানের খোরাক জুগিয়েছে, কর্মে অনুপ্রাণিত করেছে।
পুলিশ সুপার স্যারের বদলীর খবর শুনে আমাদের শহরে একটি শোকাবহ অবস্থার তৈরী হয়েছে। টানা ১০দিন বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছে। সকলেই ব্যথিত কারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে। সাধারণত পুলিশ যেমন হয়, পুলিশ প্রশাসন যেমন হয় সেই রূপটাই পাল্টে দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান স্যার।
নিজের সততা ও কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতায় দেখিয়ে দিয়েছেন পুলিশ যেমন রূপের হওয়ার কথা ছিল সেইরূপ। কথায়, কাজে, বিশ্বাসে, ব্যতিক্রমে, সত্যিই তিনি অনন্য। আর তাই তাঁর বিদায়ে মানুষের এতো বিরহী আবেগের প্রকাশ। তিনি ফুলপ্রেমিক মানুষ; তাই বিদায় নিয়েছেন গাছের ফুলে, মানুষের হৃদয়ের সুবাসে।
ছবি ক্যপশনঃ- গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিংবদন্তী পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান স্যারের বিদায়ের দিন স্যারের বাংলোর পুকুর পাড়ে জেলার গুণীজনদের সাথে আমি।
ছবিতে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িযার মাননীয় যুগ্ম ও দায়রা জজ মোঃ কাউছার আহমেদ স্যার, মাননীয় পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (সেবা-বার) স্যার, পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন স্যার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম স্যার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু আংকেল, আর পুলিশ সুপার মহোদয়ের আদরের ছেলে আলিফ।
এরকম একটি স্মৃতি না থাকলে আফসোস থাকতো। ধন্যবাদ স্যার। ভালো কাজের জন্য, জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যের জন্য, আর আলোকিত মানুষদের সাথে একটি ছবি তোলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ।
০১ জুন ২০১৫
শুভ জন্মদিন স্যার,
জন্মদিনে অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী আজো আপনাকে ভোলে নাই। এখনো আগের মতই ভালোবাসে।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১১ মার্চ ২০২৩
0 মন্তব্যসমূহ