সিতানগর-কাশিনগর
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
গাছপালার আড়াল থেকে দিগন্ত রেখায় উঁকি দেয়া ভোরের তন্দ্রাতুর যে সুর্য দেখে তাদের ঘুম ভাঙে, পরন্ত বেলায় ক্লান্ত সেই দিবাকরকে বিদায় জানানোর আগেই হারিয়ে যায় ইট পাথারের বিশাল বিশাল অট্টালিকার আড়ালে।ওরা সিতানগর, কাশিনগর গ্রামের বাসিন্দা। শহরের এতো কাছে বসবাস করেও আজো নগর সভ্যতার অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত।
গ্রাম্য/শহুরে শব্দ দুটির মাঝখানে পার্থক্য তৈরী করে দিয়েছে যে নদী; তার নাম তিতাস। শতশত বছর এর কোল জুড়ে তাদের বসবাস। এর পবিত্র জল দিয়ে তাদের জীবন-জীবিকার অবগাহন। তাই ঘৃণা নয়, পরম ভালোবাসায় একে অপরকে আগলে রাখে যুগের পর যুগ।
গ্রামগুলোর বাসিন্দারা শুষ্ক মৌসুমে হাত-পা ছুয়ে তিতাসকে আলিঙ্গন করে যে যত্নে, যে ভালোবাসায় তার প্রতিদানে ভরা বর্ষায় তিতাস তার জল দিয়ে ছুঁয়ে যায় তাদের ঘরবাড়ি।
তিতাসের এ অতিরিক্ত ভালোবাসা তাদের জীবনযাত্রায় ছেদ ঘটালেও তিতাসকে মোটেও ঘৃনা করে না। বরং আগের চেয়েও আরো বেশি ভালোবাসে। কারণ তিতাস যে বড়ো মায়ার নদী।
(সিতানগর-কাশিনগর গ্রাম নিয়ে লেখা আমার একটি লেখার অংশবিশেষ)
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৬ জুন ২০২২ খ্রি.
পুনশ্চ: ছবিগুলো গতকাল বিকেলের।
0 মন্তব্যসমূহ