আজ বিশ্ব গ্রন্থ ও কপিরাইট দিবস-২০২২
দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ইউনিট আজ বিকেলে একটি অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলো। দেশের ৬৪ জেলার ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ইউনিটের পাঠক, অভিভাবক, স্বেচ্ছাসেবক ও সাংস্কৃতিক সংঘের সদস্যবৃন্দের সাথে এতে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
সকলের আলোচনা শুনে মনে হয়েছে বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে কমবেশী আমরা আনেকেই জানি কিন্তু কপিরাইট আইন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না বা জানলেও মানি না। তাই দেখা যায় বই দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিলেও কপিরাইট সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু লিখেননি। অথচ কপিরাইট আইনটি তৈরী কার হয়েছে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের যাবতীয় সুরুক্ষার জন্য।
কপিরাইট আইনে সকল সৃজনশীল কর্মকাণ্ড যেমন ছড়া, কবিতা, গল্প বা অন্য কোন সাহিত্য রচনা ও বই প্রকাশ এবং সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য নির্মাণ সহ বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে মানুষের স্থাবর-অস্থাবর সম্পতির মতই ইন্টেলেকচুয়াল বা “বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তি” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই নীতিমালায় অনেকগুলো ধারা রয়েছে যা প্রত্যেক সৃজনশীল ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট উপযোগী ও উপকারী।
বর্তমান বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে অনেককেই দেখা যায় অন্যর সৃষ্টিকে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার বাজে প্রবণতা। আরেকজনের লেখা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করে তারা নিজেকে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গবেষক হিসেবে প্রচার করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন । এতে করে একজন প্রকৃত লেখক বা শিল্পীকে একদিকে যেমন অবমূল্যায়ন করা হয় তেমনি আবার এর ফলে প্রকৃত লেখক বা তার পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।
তাছাড়া চুরি করা লেখায় নিজের ইচ্ছেমত বিষয় বা মতামত তুলে ধরার ফলে মূল লেখার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়, সত্যকে গোপন করা হয় এবং যে উদ্দেশ্যে একটি সৃজনশীল কর্মের সৃষ্টি তা বিনষ্ট হয়। তাই এসব প্রতিরোধে কপিরাইট নীতিমালা সর্ম্পকে আমাদের সকলের ধারণা থাকা উচিৎ। আগামীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো।
আগামী বছর এই দিবস দু’টি যথাযথা ভাবে পালন করা হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সবাইকে বিশ্ব বই দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বই হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
0 মন্তব্যসমূহ