Ticker

6/recent/ticker-posts

সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা স্বরূপ


সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য আলাদা কোন পেশা বা সময় নেই যারা চর্চা করে তারা যেকোনো পেশায় থেকে, যেকোনো সময় চর্চা করতে পারে প্রতিটি লেখক শিল্পীদের আলাদা একটা পেশাগত পরিচয়ও থাকে সাধারণত নিজের পেশাগত পরিচয়ের চেয়ে তারা লেখক/শিল্পী পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন

তারা নিজ পেশার হাজারো ব্যস্ততাসহ জীবনের নানা অপূর্ণতা, অসঙ্গতির মধ্যেও তারা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করে যায় আর যারা করে না, তারা হাজারো সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও করে না, করতে পারে না

আপনাকে যদি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত একটি বদ্ধ কক্ষে রেখে দেওয়া হয় তাহলে এক সপ্তাহ, দশ দিন এমনকি এক মাস বন্দী রাখলেও আপনি দুই লাইন কবিতা লিখতে পারবেন না, একটি গানের কলি লিখতে পারবেন না আবার যারা পারে তাদের জন্য এই বন্দী সময়টা হল লেখালেখির সুবর্ণ সুযোগ

যারা লিখতে পারে তারা জনসমাবেশের মধ্যেও লিখতে পারে, ব্যস্ততার মধ্যে  লিখতে পারে বন্দী থেকেও লিখতে পারে কারণ এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভা আর প্রতিভার সাথে কর্ম, বংশ, অর্থ, পদবি বা ক্ষমতার কোনো সম্পর্ক নেই

অনেকেই হয়ত লেখালেখি বা শৈল্পিক কলাকে পেশা হিসেবে নেন কিন্তু সেটা শুধু জীবন-জীবিকার তাগিদেএকজন প্রকৃতি লেখক বা শিল্পী কখনোই কেবল অর্থের জন্য সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করে না

তাহলে কেনো করে ?

হয়ত কেউ নিজের প্রতিভা বিকাশে জন্য, কেউ মনের আনন্দে, কেউ সম্মান অর্জনের জন্য, কেউ দেশ মানুষের কল্যাণের জন্য অথবা অন্য কিছু.....

আর যারা শুধু অর্থের জন্য শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করে তারা যত গুণই হোক সময় তাদের বেশি দিন ধারণ করবে না

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ছবি: সাতছড়ি জাতীয় উদ্যায়ন (০১ সেপ্টেম্বর ২০১৩)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ