Ticker

6/recent/ticker-posts

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও কিছু কথা (রাজকুমার ও তোতা পাখির গল্প)


 

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও কিছু কথা।

ছোটদের গল্পগ্রন্থরাজকুমার তোতা পাখির গল্প” বইটি প্রকাশে আমার কম্পিউটারের কিবোর্ড এর কটকট আওয়াজ থেকে প্রকাশকের ছাপা মেশিনে গটগট আওয়াজ তোলার পেছনে যিনি মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি গুণী কবি কথাসাহিত্যিক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা শ্রদ্ধেয় আমির হোসেন স্যার।

তিনি শুধু একজন লেখকই নয়, একজন ভালো পাঠক ও আলোচক। সেইসঙ্গে নতুন পাঠক ও লেখক তৈরি করার অন্যতম কারিগর। বেশ কিছু নতুন লেখকের বই প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি পর্দার আড়াল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। যার প্রমাণ এইরাজকুমার তোতা পাখির গল্প”  বই আকারে প্রকাশ পাওয়া।

এই বইটি প্রকাশের জন্য তিনি আমাকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করা, গল্পটি সম্পর্কে অভিমত লিখে দেয়া, প্রুফ দেখাসহ নানান পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।তাই সবশেষে ঝকঝকে ছাপা কপির প্রথম বইটি স্যারের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। নিজ নামের সাথে নতুন একটি বিশেষণ যুক্ত হওয়ায় আজকের এই লিখাটি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সামান্য উপায় মাত্র।

বইটি প্রকাশে বিভিন্ন সময় নানান ভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে আমার বন্ধ কবি হুমায়ুন কবির, কবি গীতিকার গাজী তানভীর ভাই, ছোট ভাই ফাহিম মুনতসির, সাহিদুল ইসলাম ও হাসান আহমেদ। কৃতজ্ঞতা জানাই বইটির প্রকাশক জ্ঞানজ্যোতি প্রকাশনীর তপন কান্তি দে, প্রচ্ছদ শিল্পী সাগর, গ্রাফিক্স ডিজাইনার মো. সোলাইমার মিয়া ভাইকে।


আরেকজন ব্যক্তির কথা না বললেই নয়, এই গল্পটি বই আকারে এবারই প্রথম প্রকাশ হলেও এটি ২০১৩ সালে একটি স্মরণিকায় প্রকাশ হয়েছিল। হাতেলেখা পান্ডুলিপি পড়ে সেই গল্পটি প্রকাশ করেছিলেন পথিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক লিটন হোসেন জিহাদ ভাই। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

গল্পটি লেখা হয়েছিলো ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। ১২/১২/১২ বিশেষ এই স্মণীয় করে রাখতে গল্পটি লিখেছিলাম্ রাধুনী হোটলে বসে। রাধুনী হোটেলের স্বত্তাধিকারী ফখরুল হাসান ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।এছাড়াও নানান সময় নানান ভাবে যারা আমাকে সহযোগিতা উৎসাহ প্রদান করেছেন আপনাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ মোড়ক উম্মোচন হওয়ায় বইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার হাতে তুলে দিতে পারিনি। খুব শিগগিরই একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনাদের সবার হাতে তুলে দিতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি।

নিয়মিত ছড়া, কবিতা বা প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করলেও আমার লেখা আরো কয়েকটি গল্প ও একটি অসম্পূর্ণ উপন্যাস আছে। আপনাদের উৎসাহ পেলে সেগুলোও আলোর মুখ দেখতে পারে। আপনাদের সবার জন্য শুভেচ্ছা শুভকামনা রইলো। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রি.

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ