Ticker

6/recent/ticker-posts

রসিকলালের রসিকতা, লোডশেডিং ও এর লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু কথা।


রসিকমামা বিকেল পাঁচটায় বাজারে যাচ্ছিলেন বাতাসে খানিকটা ঝড়ো হাওয়া মাথার উপর গাছের পাতা দুলছে মামা হাঁটছেন রাস্তার বাঁকে, বাড়ির মুখে খানিকটা বাদে বাদেই এক একটা জটলা, ঝাঁকে ঝাঁকে ছেলে মেয়ে, হাতে বই খাতা, ঘন ঘন ঘড়ি দেখছে না এখনও সাড়ে পাঁচটা বাজেনি একদল বেরোলেই অন্য আর এক দলের প্রবেশ মামা হাঁটছেন একটা ঘরের সামনে বারান্দায়, রাস্তায় প্রায় বিশটা সাইকেল দরজার আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খান পঞ্চাশেক জুতো, চপ্পল, চটি ভেতরে একটা ভারী গলার আওয়াজ সবাই খাতা খোল, খুলেছ, ব্যাস এবার লেখ– The tribes বানানটা হল টি আর আই বি এস Came face to face with the cruel forces of strom বানানটা হল এস টি আর এম অর্থাৎ ঝড়তারপরই হঠাৎ থেমে গেল সব ঘরের ভেতর একটা হাসি, হই হট্টমেলা মামা দাঁড়ালেন জানালার ফাঁক দিয়ে দেখলেন এক ঝাঁক কিশোর কিশোরী হাসছে আর তাদের সামনের টেবিলে বসে আছে একটা বড়ো টেপ রেকর্ড, নির্বাক মানে লোডশেডিং মাস্টারমশাই নববর্ষের অতিথি অভ্যাগতদের জন্যে মিষ্টি আনতে বাজারে গেছেন তারই বিকল্প টেপ রেকর্ডখানা রেখে কিন্তু অভাগা ঝড়ের নাম শুনেই কিনা লোডশেডিং

উপরক্তো গল্পটি একটি বইয়ের বইটির নাম রসিকলালের রসিকতা লেখকের নাম বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী তিনি একাধারে কবি, ছড়াকার, গল্পকার গীতিকার ওপার বাংলার আগরতলার বাসিন্দা এই গুণী লেখকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে রয়েছে নাড়ীর টান গত ২০ মে এই বইয়ের কয়েকটি কপি তিনি পাঠিয়েছেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ আবৃত্তি সন্ধ্যাএক আকাশের তারাঅনুষ্ঠানের ভারতীয় আবৃত্তি সংগঠনকাব্যায়নএর দিপক সাহা দাদার মাধ্যমে

শ্রদ্ধেয় লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর নাম প্রথম শুনেছিলাম কবি আমির হোসেন স্যার সংখ্যা সম্পাদনা করতে গিয়ে সেখানে তাঁর লেখা একটি প্রবন্ধ ছিল দ্বিতীয়বার তাঁর নাম শুনলাম অদ্বৈত গ্রন্থমেলার কাজ করতে গিয়ে তিনি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মেলায় কয়েকবার তাঁর সাথে দেখা হলো, কথা হলো কথা হলো নির্বাহী স্যারের কক্ষে, কিন্তু তাঁর সম্পর্কে তখনো তেমন কিছু জানি নারসিকলালের রসিকতাবইটি তিনি আরো কয়েক জনের জন্য পাঠিয়েছিলেন সবার কপি দেয়া শেষে নিজের কপিটি আমার টেবিলেই পরে ছিল একদিন মনে হলো লেখক পরিচিতি একটু পড়ে বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী আংকেল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই বইয়ের ফ্লাপে লেখক পরিচিতি পড়ে আমি রীতিমতো অবাক সেখানে লেখা ছিল... বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য নাম প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা প্রায় পঁয়তাল্লিশ বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার প্রায় সমস্ত উল্লেখযোগ্য কাগজে, ছড়া গল্প সংকলনে তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে ছড়া, কবিতা, গল্প ছাড়াও নিয়মিত লিখছেন ভিন্নধর্মী বহু লেখা কলকাতা দূরদর্শনে অনুষ্ঠান ছাড়াও আগরতলা দূরদর্শন আকাশবাণীতে প্রচারিত হয়েছে তাঁর ছোটোদের নাটক গান পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও তাঁর বহু লেখা ছড়িয়ে আছে ক্যাসেট, সিডিসহ মানুষের মনের গভীরে বাংলা ছাড়া অনুবাদ হয়েছে হিন্দি, ইংরেজি, পাঞ্জাবি, উড়িয়া, চীনা, তামিল তেলেগু ভাষায় ২০১০ সালে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট-ইন্ডিয়া বেইজিং আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায় তাঁর গল্পের বইমনের পাখি বনের পাখি’ (Bird of Mind) বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করে চীনের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করে

অন্য একটি বইয়ের রেফারেন্সে জানলাম নিজ প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা যার মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য পরিষদ, পশ্চিমবঙ্গ কর্তৃক ধূর্জটি-বারীন স্মৃতি পুরস্কার, সারাবাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গে সারাবাংলা ছড়া উৎসব কর্তৃকঅজগর পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিশু কিশোর আকাদেমি কর্তৃক সম্মাননা স্মারক, উদ্ভাস শিশুভাবনা কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ কর্তৃক ডা. আদিত্যকুমার ঠাকুর স্মৃতি পুরস্কার, ত্রিপুরা সরকার প্রদত্ত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার, ত্রিপুরা রবীন্দ্র পরিষদ কর্তৃক কবি বিজনকৃষ্ণ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, জ্ঞান বিচিত্রা প্রদত্ত সহচরী দেবী স্মৃতি পুরস্কার, দক্ষিণী প্রদত্ত নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার, জলছবি, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, রবিসুধা, নবোদয় সংঘ, তরুণ সংঘ, বর্ণমালা, সবুজকলি, স্বরমালিকা সহ তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরো অনেক পুরস্কার, সম্মান সংবর্ধনা নিজ রাজ্য ভিন্ন রাজ্য থেকে সরকারি বেসরকারি বহু পুরস্কার পেলেও তিনি মনে করেন তাঁর লেখা কোনো পাঠক যদি পড়ে আনন্দ পান তাহলে সেটাই হল তাঁর সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার

কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয় ভাই একদিন কথা প্রসঙ্গে জানালেন, শ্রদ্ধেয় লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে অনেক পূর্বে তার পরিচয় হয়েছিল আরেকজন পতিতযশা কবি শ্রদ্ধেয় দিলীপ দাসের মাধ্যমে হৃদয় ভাই জানালেন, ওপার বাংলায় বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী আঙ্কেলকে "ছড়া সম্রাট' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়

শ্রদ্ধেয় লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী আংকেলের এতো গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে নিজের মধ্যে একটা গর্ব অনুভব হতে লাগলো কারণ প্রথমেই বলেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে তাঁর নাড়ীর টান অদ্বৈত গ্রন্থমেলার পর বেশ কয়েকবার তাঁর সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি, তাঁর পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ছিল নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাঘাউরা গ্রামে বাঘাউরা বড় বাড়ির নাম সবাই জানেন এই বাড়িতেই তাঁর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলো, হাওয়া আর তিতাসের জল ছোঁয়াতেই তাঁর বেড়ে ওঠা তিনি বিদ্যাকুট অমর হাই স্কুল মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন ১৯৬৭ সালে তরুণ বয়সে পরিবারের সাথে তিনি আগরতলা চলে যান নিজ জেলার গুণী মানুষ যেখানেই থাকুক তাদের নিয়ে আমাদের গর্বতো হবেই

কথা প্রসঙ্গে তাঁর লেখাএই তিতাস আর সেই তিতাসের গল্পবইয়ের নাম উল্লেখ করে তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ আর তিতাস সম্পর্কে অনেক কথাই বললেন এখানে একটি কথা কোড করার মত, তিনি বলেছেন- “শহরের তিতাস আর গ্রামের তিতাস যেমন এক নয়, তেমনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ যে তিতাসের কথা বলেছেন সেই তিতাসের সাথেও বতর্মান তিতাসের মিল নেই বুঝলাম ভিনদেশে থাকলেও তিনি যে নিজ জন্মভূমিকে ভুলে জাননি তা তাঁর কথা শুনলেই বোঝা যায় শহরের হালদারপাড়া মহল্লা তাঁর পিসা (ফুফা) বিরেন্দ্র কুমার হালদার এর নামে সেটাও জানলাম তাঁর সাথে কথা বলে বুঝবেন না তিনি ভারতীয় বা বাংলাদেশি কারণ তাঁর বাচনভঙ্গি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষার মত

রসিকলালের রসিকতা ২২টি ছোটগল্প দিয়ে সাজানো এক দুপুরে বইটি হাতে নিয়ে ভাবলাম দু'একটি গল্প পড়ি তখন সূচি দেখেলোডশেডিংগল্পটি বাছাই করলাম কারণ আমাদের দেশেও তখন লোডশেডিং চলছিলো ভাবলাম দুই বাংলার লোডশেডিং এর রকমফের জেনে নেই গল্প পড়ে ভালো লাগলো তিনি রসিকতার ভঙ্গিতে ভঙ্গিতে সহজ শব্দে, সহজ বাক্যে কঠিন কথাগুলো বলেছেন মৃদু মৃদু রসিকতার ছলে তিনি সমাজের অনিয়ম, অনৈতিকতা বিশৃঙ্খলাগুলো তুলে ধরেছেন  যেমন: এক জায়গায় তিনি লিখেছেন মামা হাঁটছেন ছোটো রাস্তা পেরিয়ে মেজো রাস্তা, মেজো রাস্তা পেরিয়ে সেজো রাস্তা তারপর বড়ো রাস্তা সারা শহর অন্ধকারে ঢেকে আছে রাস্তায় ফুটপাত নেই, সাইকেল রিকশায় আলো নেই যা আছে তা হল এলোপাতাড়ি আওয়াজ টিং টিং মামা হাঁটছেন

গল্পের ফাঁকে ফাঁকে তিনি নানান মেসেজও দিয়েছেন যেমন লিখেছেন: এদিকে একটা বিষয়ের পড়া শেষ করে ছাত্ররা ঝাঁকে ঝাঁকে আবার ছুটছে অন্য আরেকটা বিষয় পড়তে অন্ধকারের ভেতর পরিশ্রম ক্লান্ত এক মাস্টার মশাই গালে হাত দিয়ে আলো আর অন্ধকারের কথাই ভাবছেন তিনি ভাবছেন জেনারেটরের কথা, জেনারেশনের কথা নয়

একটি গল্প পড়েই বইয়ের ফ্লাপে থাকা প্রকাশের কথা মূল্যায়ন পড়ে নিলাম প্রকাশক লিখেছেনরসিকলালের রসিকতা’  হালকা হাসি মজার যুগলবন্দি চোরেদের নানান কাণ্ডকারখানা নিয়ে থিসিস পেপার জমা দিয়ে ডক্টরেট হওয়ার লক্ষ্যেই রসিকলালের সঙ্গে চোরেদের এত ঘনিষ্ঠতা গ্রামে শহরে চোরদের হরেকরকম ট্রেনিং, পরীক্ষা, প্রমোশন মজাদার ঘটনাসবই রয়েছে বই-এর পাতায় পাতায় এক কালে মনে হত চোর মানেই অদ্ভুত দর্শন, হিজিবিজবিজ, না, এখন আর তেমনটি নেই বেঁটে চোর, লম্বা চোর, মোটা চোর, রোগা চোর, রসিক চোর, বেরসিক চোর, বোকা চোর, বুদ্ধিমান চোরসব নিয়েই এই রসিকলালের রসিকতা

বইটি সম্পর্কে লেখক তাঁর মুখবন্ধে বলেন, রসিকচোর ছোটোবেলায় ভাবতাম চোর এক ভিন্ন প্রজাতির চোর হবে কদাকার কুৎসিত তার থাকবে মাথায় শিং, গায়ে লম্বা লম্বা চুল, বড়ো বড়ো নখ সে এক বিতিকিচ্ছিরি হিজিবিজবিজ কিন্তু বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সে ধারণাটা আস্তে আস্তে পাল্টে যায় লম্বা, বেঁটে, মোটা, রোগা, ফরসা সব ধরনের চোরের মজার কাণ্ডকারখানা নিয়েই রসিকলালের থিসিসের বিষয়চোর আর এই চোরদের নিয়েই তার ডক্টরেট রসিকলালের রসিকতা ধারাবাহিকভাবে ত্রিপুরা দর্পণ, শৈশব- ছাপা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ২০০৪ সালে ডজনখানেক রসিক চোরের গল্প নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল জ্ঞান বিচিত্রা প্রকাশনী থেকে বইটির নাম ছিলরসিকলালের রসিকতা এবার এক ডজন নয় প্রায় দুই ডজন গল্প ছাপা হচ্ছে একসাথে সবই সেই রসিক চোরদের নিয়ে

লোডশেডিং গল্পে সেই চোরদের একজনের দেখা পেলাম তিনি লিখেছেন মামা হাঁটছেন বাজারে সবজির দাম দিতে গিয়ে কার পকেটে যেন কে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে পয়সা দেবার জন্যে ভাগ্যিস পয়সা ছিল না পকেটে ছিল একটা অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট তাই ভদ্রলোক এতটুকুও না ক্ষেপে আস্তে বললেন, আপনারও গ্যাসট্রিক তো ভালোই হল, আমারও গ্যাসট্রিক, ট্যাবলেট না খেলে একদম চলে না কাজেই ফিফটি ফিফটি বলেই ট্যাবলেটটা ভেঙে- টুকরো করে একটা নিজের মুখে পুরে অন্যটা তার মুখে দিয়ে বললেন চুষে খান, বেশ ভালোই লাগবে

গল্পে গল্পে তিনি অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা বা হতাশার কথাই শুধু বলেছেন তা কিন্তু নয় তিনি আশার কথাও শুনিয়েছেন এবং সেখানেও রয়েছে রসিকতা যেমন লিখেছেন: পরদিন রাত আটটা পাঁচ রসিকমামা ঘরে বসে আছেন ঘরে দিদিমা রোজ দিনের মতো দুটো হ্যারিকেন জ্বালিয়ে সেই সন্ধ্যা থেকেই বসে আছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ লোডশেডিং হয়নি, তাই দিদিমার মুখেও বিরক্তির সুরঅসহ্য, কি বিরক্তি লাগছে বল তো, সেই কখন থেকে হ্যারিকেনগুলো জ্বালিয়ে বসে আছি অথচ আজ লোডশেডিং হচ্ছে না

এই বইটি নিয়ে যখন লিখছি টেবিলে আমার সামনে এই বইটি দেখে আমার শিশু কন্যা তাসফিয়া বলল- আব্বু  এটা তোমার বই আমি বললাম- না, এটা একটা আংকেলের বই তাসফিয়া বলল- এটা কি কোনো চোরের গল্প আমি অবাক হয়ে বললাম- তুমি  কীভাবে বুজলে সে বইয়ের প্রচ্ছদ ছবি দেখিয়ে বলল- লোকদুটো যে ব্যাগ পিছনে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে, তাইতো বুজতে পারলাম কার্টুনে দেখেছি চোররা এভাবেই পালিয়ে যায় মেয়ের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারলাম না

বইটি যখন কবি জয়দুল হোসেন স্যারের হাতে দিয়ে ছবি তুলছিলাম, তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন- এখন থেকে আমার সাথে ছবি তুলতে হলে আমাকে টাকা দিতে হবে আমি বললাম- এই নিময়তো আপনি আগে চালু করেননি আজকেই প্রথম প্রথমবার হিসেবে ছবি তোলার বিল মৌকুফ করা হোক তিনি বললেন- বইয়ের নামতো রসিকলালের রসিকতা, তাই আমিও একটু রসিকতা করলাম আমরা সবাই হেসে উঠলাম

উল্লেখ্য এই বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখকের নিজ পকেটের টাকা খরচ করতে হয়নি বলেও জানলাম যা নিঃসন্দেহে আনন্দের সংবাদ

শ্রদ্ধেয় লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী আংকেল তাঁর ভুমিকায় বইটি প্রকাশের জন্য বুক ওয়ার্ল্ড জ্ঞান বিচিত্রার অঞ্জনা দাম দেবানন্দ দামসহ পুরো টিমের শুভেচ্ছা শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘রসিকলালের রসিকতা বইটি পড়ে আর অলক দাশগুপ্তের অলংকরণ দেখে সবাই খুব মজা পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস একমাত্র গল্প পড়েই লেখকের বিশ্বাসের সাথে আমিও একমত না হয়ে পারছি না বাকী গল্পগুলো অচিরেই পড়ে শেষ করবো এবং রসিকলালের রসিকতা কুড়াবো

রসিকলালের রসিকতা, লোডশেডিং এর লেখক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু কথা

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ

১০ জুন ২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি কৃতজ্ঞতা: Md Sujon Sarkar, Mazharul Karim Auvi  Minhaj Shahriar Rasel

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ