Ticker

6/recent/ticker-posts

অভিশপ্ত নগরীর বাসিন্দা | ছড়া

 




অভিশপ্ত নগরীর বাসিন্দা

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ


জ্বলছে শহর জ্বলুক,

জ্বলতে জ্বলতে এই শহরটা

ছাই করে ফেলুক।

 

মরছে মানুষ মরুক,

মরতে মরতে এই শহরটা 

শূন্য হয়ে পড়ুক।

 

(তারপর একদিন হঠাৎ করে সৃষ্টিকর্তা 

কয়েকজন দেবদূতকে ডেকে বলে)

 

একটু আনো খোঁজ,

আগের মত আমায় ডাকা

পাইনা কেন রোজ।

 

ভাবছি বসে তাই,

ধর্মকথার মর্মবাণীর 

শব্দ কেন নাই। 


(তারপর দেবদূতের দল এসে

 সারা শহর ঘুরতে লাগলো।)

 

খুজছে ভীষণ ভাই, 

কোন খানে জনমানবের 

চিহ্ন খানি নাই।

 

লাগছে বড়ো ক্লেশ,

লাসের উপর লাস পড়েছে

নেইকো যেনো শেষ। 


(জনমানবহীন শহর থেকে দেবদূত তখন 

ধর্মগ্রন্থগুলো আকাশে নিয়ে যেতে চাইল, কিন্তু )

 

কোথায় তারে পাই,

এথাই সেথাই উড়ছে তখন 

ধর্মগ্রন্থের ছাই।

 

ছাই গুলোকে ধরে,

বস্তায় ভরে দূতের দল

প্রভুর কাছে উড়ে।

 

(তখন আসন ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার দেবদূতদের 

দিকে তাকিয়ে বলে)

 

খবর কি তাই বল, 

বস্তায় ভরে কি এনেছো

জলদি মুখটা খোলো।

 

আমায় কেন না ডাকে,

ঐ শহরটাতে পাঠিয়ে ছিলাম

মানুষ লাখে লাখে। 


(দূতেরদল তখন সৃষ্টিকর্তাকে 

উদ্দেশ্য করে বলে)

 

হে সর্বশক্তিমান,

সবকিছু জেনেও কেনো

আমাদের ফরমান। 


জ্বলছে নগর সব,

মানুষ মরে ছাই হয়েছে তাই 

নাইতো কলরব। 


( সৃষ্টিকর্তা তখন একটু লজ্জিত হয়ে বলে)

 

ঠিক বলেছিস ও-রে,

মানুষগুলির আত্মা এখন 

আমার কাছে উড়ে।

 

সব বেঁধেছে জোট,

স্বর্গে যাওয়ার পক্ষে তারা 

আজ দিয়েছে ভোট। 


(এবার সৃষ্টিকর্তা রাগান্বিত হয়ে সব মানুষের আত্মাকে ধমক দিয়ে বলে।

 

রক্ষা তোদের নাই,

আমার বান্দা আমার কিতাব 

পুড়িয়ে করেছিস ছাই।

 

স্বর্গ অনেক দূরে,

নরকের দরজা আছে খোলা

আসবি সেথায় ঘুরে। 


(তারপর সৃষ্টিকর্তা আক্ষেপ করে নিজেই নিজেকে বলে)

 

ভুল করে ছিলাম,

শ্রেষ্ঠ জীব বানিয়ে তোদের 

ধরায় পাঠিয়েছিলাম।

 

সবতো আছে জানা,

আবার যদি পাঠাই মানুষ

ধর্ম পাঠাবো না। 


(মহা পবিত্র শবে বরাতের দিনে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ