এই হাসছি-এই কাঁদছি, এই ভাসছি-ডুবছি
মায়াবী ঢেউয়ের স্রোতে অনবরত দুলছি,
কোথাও একখণ্ড মাটির দেখা মিলেই
প্রবল আশায় বাঁধি বুক,
হয়ত পেয়ে যাব-
একটু সুখের আশ্রয়,
তারপর প্রচণ্ড দমকা হাওয়া এসে
তরী ভাসিয়ে নিয়ে যায় মাঝ দরিয়ায়।
দিকভ্রান্ত নাবিকের মত গুলুইয়ে দাঁড়িয়ে
দু-তীরের ঘরবাড়িগুলোকে মনে হয়
এক একটি রহস্যময় জনপদ
রূপকথার অচিনপুর গ্রাম।
নদীপাড়ের মানুষের প্রাত্যহিক জীবন
আমাকে গভীরভাবে ডেকে চলে
সে বড় আশ্চর্য-সুন্দর শৈল্পিক সে দৃশ্য
কিন্তু মনুষ্য সঙ্গতে আমার যে বড়ো ভয়!
তারচেয়ে আমি বরং খুঁজে নিই
কেওড়া, বাইন, গরান, গোলপাতা ঘেরা
কাঁশ কাউন ভরা কোনো এক বিরান চর।
কল্পনার চোখে নিজেকে ভাবি
রবিনসন ক্রসো।
হঠাৎ ইটারে ভেসে আসে
অচিন মাঝির ভাটিয়ালি সুর..
‘আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে
অকুল দরিয়ায় বুজি কুল নাইরে’
বুঝি-
এই নিলাম্বরীর অসীম ছায়ার নিচে
দুর্নিবার দনাব ঘূর্ণিপাকের জলরাশির উপর
দুলতে দুলতে ভেসে চলা
আমিতো একা নই
সময়ের জোয়ার ভাটায়
জীবন নামের মহারহস্যময়
এই তরী
এভাবেই এগিয়ে চলছে
উদ্দেশ্যহীন
অজানা কোনো এক গন্তব্যে...
নাবিক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
রাত ১২.৪০
১১ আগস্ট ২৩
0 মন্তব্যসমূহ