একেবারে ব্রান্ড
নিউ লেখা- খোঁচাখুঁচি
আমরা হইলাম গিয়া খোঁচাখুঁচি প্রিয় জনতা। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন, শ্রদ্ধা বা ভ্রাতৃত্ববোধ নাই বললেই চলে। তাই সর্বদা একে অপরকে খোঁচাইতে খুব ভালোবাসি।
আমরা অন্যের ভালো দিকটা খুঁজি কম; দোষ খুঁজি বেশি। কারণ কারো দোষ খুঁজে পেলে তা নিয়া খোঁচানোর মজাই আলাদা। খোঁচাখুঁচিতে পারদর্শী অনেকে আবার মানুষের গুণাগুণ নিয়াও খোঁচাইতে পারে (বাপরে বাপ- কী উজ্জ্বল প্রতিভা !)।
অন্যকে নিয়া খোঁচাইতে খোঁচাইতে নিজেও খোঁচাখুচির মধ্যে পরে যাই, তবুও আমাদের খোঁচাখুঁচি বন্ধ হয় না (বোজেন তাহলে আমরা কী দৃঢ়চেতা জাতী)।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের নানান পার্থক্য থাকলেও, এই একটা জায়গাতে আমাদের অনেক মিল তা হলো- খোঁচাখুঁচিতে আমরা সবসময় একে অন্যকে সহযোগিতা করি(ভ্রাতৃত্ববোধ)।
আমরা স্নেহ-মায়া-মমতা প্রদর্শন করার চেয়ে দয়া দেখাতে বেশি পছন্দ করি। কারণ এতে অদূর ভবিষ্যতে খোঁচানোর সুযোগ থাকে (সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা)।
সাধারণত আমরা মুখেই খোঁচাখুঁচি করি (সনাতনী পদ্ধতি)। কেউ কেউ আবার কাগজপত্র, ছবি-ভিডিও আদান প্রদান করি। এই ডিজিটাল যুগে আমাদের খোঁচাখুঁচির ধরণ অনেকটা স্মার্ট হয়েছে (৪০ সালের আগেই)।
বিশ্বাস করেন- প্রতিদিন কাউরে না খোঁচাইলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না। রাতে ভালো ঘুম হয় না। সারাক্ষণ মনটা উসখুস করে। মনে হয় কি যেন করি নাই, কি যেন করি নাই! যদিও খোঁচাখুচি বন্ধ করে নিজের কাজটা মনোযোগ দিয়ে করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যেতো।
কিন্তু যেহেতু আমরা খোঁচাখুচি প্রিয় মানুষ, তাই ভালো ফল চাই না, ভালোবাসাও চাই না, শুধু ভালোলাগা চাই। খোঁচাখুঁচির চেয়ে ভালোলাগা আর কী হতে পারে ?
সংযুক্তি:
গত পাঁচমাস যাবত চাণক্য মহাশয়, রবিঠাকুর, বিদ্রোহী নজরুল, হুমায়ূন আজাদ, হুমায়ূন আহমেদ, ইমাম গাজ্জালি, আইন্সেটাইন, প্লেটো, এরিস্টটল, নিউটন, স্টিফেন হকিং, আরেক ভদ্রলোক, কারেন্ট যে আবিষ্কার করছে। ডিমের উপর যে বসে থাকতো, তার নাম মনে নাই। তারা সবাই আমাকে যথেষ্ট খোঁচানোর চেষ্টা করতেছে।
তাদের সবাই কিন্তু আপনাদের মত তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয় পাশ নয়। তারা স্বশিক্ষিত। তাই তারা যে কাউকে নিয়ে খোঁচানোর জন্মগত অধিকার সংরক্ষণ করে। তাদের এই খোঁচাখুঁচিতে কিঞ্চিৎ হাসিতে চেষ্টা করি, তবে হাসি যে হাসে না। ( তারা এবং তাদের লিখতে চন্দ্রবিন্দু দিতে ভুলে গেছি, তাই বন্ধনী যুক্ত করিলাম)
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৯ মে ২০২৩
0 মন্তব্যসমূহ