হাতে পেলাম নতুন বই
"নদীর তীরে ভূতের নীড়ে"
ভূত দর্শন যেমন খুব সহজ বিষয় নয়, ভূতের বই প্রকাশও তেমন সহজ বিষয় ছিল না। আগস্টে গল্প লেখা, অক্টোবরে ছবি আঁকা। ব্যাস নভেম্বরেই তো বই হাতে পাবার কথা ছিল, কিন্তু সম্ভব হল না। ইদানিং ব্যস্ত এবং ব্যস্ততা দুইয়ে মিলে রীতিমতো সংসার পেতেছে আমার কাছেই। আর অর্থনৈতিক সমস্যাতো ছিলোই।
রাতে যখন বই হাতে পেলো আমার মেয়ের তখন সে কী উচ্ছ্বাস। কারণ ভূতের গল্পের বই লিখছি, একথা তাকে আগেও বলা হয়েছিল। আর ছবিগুলো দেখার পর থেকে নানান সময়ে জিজ্ঞেস করে, বাবা তোমার ভূতের বই কবে আসবে? তাই বইয়ের প্রথম কপি তাসফিয়াকেই দেওয়া হলো। পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে কাহিনী সংক্ষেপ বলা হলো। বলা বাহুল্য নয় যে, এই বইটি তাকেই উৎসর্গ করা হয়েছে।
কয়েকজন মিলে একটি প্রকাশনী দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি। সুতরাং এটি নব প্রতিষ্ঠিত "ঝিলমিল প্রকাশনী" থেকে প্রকাশ করা। বইটির পরিবেশক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের সুপরিচিত শিশুতোষ বই প্রকাশনী, বাবুই।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় শিশু চত্বর, বাবুই এর ৬৯১ ও ৬৯২ নং স্টলে পাওয়া যাবে আগামীকাল থেকে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঠকগণ বইটি পাবেন আগামী ২০, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠাতব্য অদ্বৈত গ্রন্থমেলায়।
পিন বাইন্ডিং, ফোর কালার, আর্ট পেপার, এসব মৌলিক বৈশিষ্ট্যসহ ২৪ পৃষ্ঠার বইটির গায়ের মূল্য ১৫০ টাকা মাত্র।
এই যে এতো কথা বললাম, আসল কথাই কিন্তু বলা হয়নি এতক্ষণ। ভূতের বই বলে কথা, ভয়ে ভুল তো হতেই পারে! এবার বলেই ফেলি, কথাটি হলো, এই বইটি প্রকাশে নানান সময়, নানানভাবে যারা আমাকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন আপনাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পরিশেষে সকলকে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
ভোর ০৬টা
লোকনাথ দিঘিরপাড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
0 মন্তব্যসমূহ