Ticker

6/recent/ticker-posts

কাহিনির শেষ পাতায়" উপন্যাসের মোড়ক ও পাঠ উম্মোচন।


কাহিনির শেষ পাতায়" উপন্যাসের মোড়ক ও পাঠ উম্মোচন

প্রকৃতির অপার খেয়ালে মধ্য চৈত্রে তার চিরাচরিত তীব্র গরমের পরিবর্তে আজ আকাশ ছিল বৃষ্টিস্নাত।


বৃষ্টির তীব্রতা উপেক্ষা করে সন্ধ্যায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার হলরুমে স্থানীয় গুণী লেখক, কবি ও সাহিত্য প্রেমীদের অংশ গ্রহণে প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডার পাশাপাশি দিক নির্দেশনামূলক ও মধুর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উপলক্ষ্য "কাহিনির শেষ পাতায়" উপন্যাসের মোড়ক ও পাঠ উম্মোচন।


"কাহিনির শেষ পাতায়" উপন্যাসটির রচয়িতা আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব জনাব পরিমল ভৌমিক স্যার।
এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস হলেও এর পূর্বেও তাঁর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তারমধ্যে রম্য রচনা "নাম ফাঁটুক-মনে কিছু কইরেন না", ভৌতিক গল্প "ভূত গবেষণা ইনস্টিটিউট" উল্লেখযোগ্য।
পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত রম্য লেখেন বলে তিনি রম্য লেখক হিসেবে বেশি পরিচিত। এছাড়াও নাট্যকার হিসেবেও স্যারের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

পরিমল স্যার পেশায় শিক্ষক। সরকারি চাকুরি থেকে অবসর নিলেও শিক্ষকতা থেকে অবসর নেননি। এখনও একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি লেখালেখি করছেন। জড়িত আছেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও।
স্যারের বয়স প্রায় ৭০ এর কাছাকাছি। এই বয়সেও কায়িক শ্রম করেন। ট্যাংকেরপাড়ে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন এবং যাতায়াতের জন্য কোন বাহন ব্যবহার করেন না। অর্থাৎ পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করেন।


এই বয়সেও কাজের প্রতি স্যারের উৎসাহ-উদ্দীপনা, সৃষ্টিশীলতার প্রতি স্যারের অনুরাগ,ভালোবাসা। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের তাঁর নির্লোভ,নিঃস্বার্থ সহযোগিতা আমাদের সত্যিই অবাক করে। তিনি প্রবীণ ও তরুণদের জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ।
সহজ সরল সাদামাটা চলাফেরা, মুখে এক চিলতে হাসি রেখে কথা বলা, শ্রুতিমধুর জ্ঞানগর্ভ বাক্য আলাপে তিনি সকলের মন জয় করে নিয়েছেন।
মানুষ গড়ার কারিগর, সুসাহিত্যিক ও সদালাপী পরিমল ভৌমিক স্যারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।


"কাহিনির শেষ পাতায়" উপন্যাসটি কল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার মিশ্রণে দারিদ্রতার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে জীবন সংগ্রামে সফল হওয়া একটি সামাজিক প্রেম কাহিনী।
জীবনে সফল হতে হলে অর্থবিত্ত, ক্ষমতার প্রয়োজন নেই অর্থাৎ ঐশ্বর্য ছাড়াও সততা, আদর্শ, পরিশ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে জীবনে সফল হওয়া যায়, এই জিনিসটি মূলত এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
স্যারের অন্যান্য বইয়ের মত এই বইটিও পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।


পরিশেষে একটি চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজন ও আমাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৯ মার্চ ২০২২ খ্রি.
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ