সে
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
পুরোনো বইয়ের তাকে হঠাৎ করে
একটি ছবির অ্যালবাম খুঁজে পেলাম।
স্মৃতির অ্যালবাম।
আমার শৈশব-কৈশোরের
সাদাকালো ছবি দিয়ে
সাজানো সেটি।
বাবা-মার কোলে আদুরে আমি;
ভাই বোনদের সাথে খুনসুটির ছবি।
কিছু ছবি আমার ছেলেবেলার
দুরন্তপনার কথা মনে করিয়ে দেয়।
ধূলি কাদামাখা শৈশবের সেসব
রঙিন স্মৃতির ছবি দিয়ে সাজানো
অ্যালবামের পাতা উল্টাতে উল্টাতে
চলে আসলাম
আমার তারুণ্য ভরা কৈশোরে।
স্কুল ড্রেসে, বই-খাতা হাতে স্কুলে যাওয়ার ছবি।
কলেজ বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা
আর ঘুরতে যাওয়ার ছবি।
মাঠে খেলা, গ্রামের পুকুরে গোসল,
টুপি-পাঞ্জাবী পড়ে মসজিদে যাওয়ার ছবি,
মঞ্চে কবিতা পাঠ, আরো কত কী!
এক এক করে সেগুলো দেখছিলাম।
অ্যালবামের পাতা উল্টাতে উল্টাতে
এর শেষ পাতা'র ঠিক আগে এসে
হঠাৎ আমার হাত থেমে গেলো।
পরের পাতাটি উল্টাতে আর সাহস হলো না,
কারণ ততক্ষণে আমার মনে পড়ে গিয়েছিল
শেষ পাতার একটি গ্রুপ ছবির
এক কোণে রয়েছে- সে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১খি.
টেংকেরপাড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
0 মন্তব্যসমূহ