পাখি আর যন্ত্রের গান
যন্ত্রের দানবীয় চিৎকারের মাঝে
অস্ফুট যে স্বর ভেসে আসে; তা একজন শ্রমিকের
মাঝে মাঝে মা’গো, বাবা’গো বলে, বাঁচও গো বলে
যে চিৎকার শোনা যায়, তা একজন শ্রমিকের।
শ্রমিকদের রক্তঝরা; ঘামঝরা, ফোসকা পড়া হাত
কখনো কারো কাছে সাহায্য চাইতে উত্থিত হয়না।
শ্রমিকদের পা কখনো সাহায্যর জন্য বাড়ায় না।
মুখ সাহায্যর পেতে কোন শব্দ উচ্চারণ করে না।
দৈনিক শ্রমই তাদের পেটে দুবেলা আহার জোগায়,
মাথা গোজার আশ্রয় জোগায়,
লজ্জা নিবারণের পোশাক জোগায়,
চিকিৎসার ব্যায় জোগায়,
পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটায়।
শ্রমই তাদের কর্ম,
শ্রমই তাদের ধর্ম,
শ্রমই তাদের সুখ-দুঃখের চিরসাথী।
শ্রমিকদের পদচারণায় আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসুক
মহামারী কবলিত নিস্তব্ধ এই পৃথিবীতে।
তাদের শরীর আবার ঘেমে উঠুক তপ্ত রোধে।
সে ঘাম শুকিয়ে যাক প্রশান্তির বাতাসে।
তাদের মুখে ফুঁটে উঠুক; উদরপূর্তির তৃপ্ত হাসি।
গাছে গাছে পাখিদের কলতানের পাশাপাশি;
কলকারখানায় বেজে উঠুক যন্ত্রের গান।
হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাক
প্রকৃতি ও মানব সভ্যতার মেলবন্ধন।
এই প্রত্যাশায় সকল শ্রমিক ভাইদেরকে জানাই
মাহন মে দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
০১ মে ২০২০ খ্রি.
টেংকেরপাড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
0 মন্তব্যসমূহ