বিশ্বের হাজারো জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আমরা একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমাদের আছে হাজার বছরের সংস্কৃতি। আছে কৃষ্টি, আছে ঐতিহ্য। আছে গৌরবময় ইতিহাস। শিল্পীর কন্ঠে……..
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।
আমাদের যা কিছু ভালো তার সবকিছু নিয়েই আমরা বাঙালি। আমাদের যা কিছু মন্দ তা প্রতিনিয়ত পায়ে ডলে আমরা সগৌরবে এগিয়ে যাই বিশ্ব মঞ্চে। কবির ভাষায়……
সাবাস, বাংলা দেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়:
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।
শত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে রক্ত ভেজা পথ মাড়িয়ে, আমাদের সোনালী অর্জনগুলো বিশ্ববাসীর কাছে অপার বিস্ময়ের জন্ম দেয়, সেই বিস্ময়ের মুকুট পড়ে শিল্পীর
কন্ঠে নতশিরে আমরা গেয়ে উঠি……..
ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা
ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা
যে মাটিতে জন্ম, যে মাটিতে বেড়ে ওঠা, যে মাটিতে মৃত্যু, যে মাটিতে ফসল ফলাই, যে মাটির জন্য যুদ্ধ করি, যে মাটির বুকে কপাল ঠেকিয়ে স্রষ্টার আরাধনা করি, মাতৃসম সে মাটিকে ভালোবেসে গভীরমমতায়
গেয়ে উঠি……..
ও আমার বাংলা মা তোর
আকুল করা রূপের সুধায়
হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে
যায় জুড়িয়ে
দূর্যোগ-দূর্বিপাকে,
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলা মায়ের মলিন বদন দেখে যে আমরা করুণ কণ্ঠে বলি……..
মা তোর বদ;ন খানি মলিন হলে-আমি নয়ন জলে ভাসি
সেই
আমরাই আবার বেনিয়া, হানাদারের আক্রমণ আর দেশীয় দালাদের আস্ফালনে প্রতিবাদী কন্ঠে আওয়াজ তুলি……..
মাগো, ভাবনা কেন?
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই, মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
সুজলা-সুফলা,
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, রুপ-বৈচিত্র আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর মাতৃভুমিকে নিয়ে
আমাদের আবেগী গান……..
ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
বাংলা মায়ের আমরা লাখ সন্তান। ধর্মে-বর্ণে মতবাদে, নানা শ্রেনিতে বিভক্ত আমরা। কোন অপশক্তি আমাদের ঐক্য নষ্ট করতে চাইলে আমরা সমস্বরে বলে উঠি……..
বাংলার হিন্দু,
বাংলার বৌদ্ধ,
বাংলার খ্রিস্টান ,
বাংলার মুসলমান
আমরা সবাই বাঙ্গালী।
আমরা বাঙালি হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, আসুন বাঙালি হয়ে বাঁচি, বাঙালি হয়ে মরি। শুধু একটি দিনের জন্য নয়, অপসংস্কৃতির করালগ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে বছরের ৩৬৫দিনই বাঙালিয়ানা মেতে থাকি।
আমাদের হৃদয়ে প্রতিদিনই ধ্বনিত হোক……..
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা
দূর হয়ে যাক, যাক, যাক
এসো, এসো
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো।
সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪২৯।
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
১৪ এপ্রিল ২০২২খ্রি.
টেংকেরপাড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
0 মন্তব্যসমূহ